চীন তার শিক্ষা ব্যবস্থায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। পাঠ্যক্রম, পাঠ্যবই এবং শ্রেণিকক্ষে সরাসরি এআই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করতে যাচ্ছে দেশটি। বুধবার চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক সরকারি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এই উদ্যোগ কার্যকর হবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে—যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এআই প্রযুক্তির সুবিধা নিতে পারবেন।বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন উদ্ভাবনকে আরো উৎসাহিত করতে এবং ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধির নতুন দিক খুঁজতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ‘মৌলিক দক্ষতা’ গঠনে সহায়ক হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাধীন চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, যোগাযোগ এবং দলবদ্ধভাবে কাজ করার ক্ষমতা বাড়বে। এ ছাড়াও, এআই প্রযুক্তির সংযুক্তির ফলে শ্রেণিকক্ষ হয়ে উঠবে আরো উদ্ভাবনী ও চ্যালেঞ্জিং—যেখানে শেখার পদ্ধতি হবে আরো আধুনিক।
এর আগে জানুয়ারিতে চীনা স্টার্টআপ ‘ডিপসিক’ আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত হয়। ‘ডিপসিক’ চীনা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই চালিত চ্যাটবট।
ডিপসিকের মুল প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের নতুন এআই মডেল বাজারের শীর্ষ এই মডেল যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক চ্যাটজিপিটির সমকক্ষ। তবে চ্যাটজিপিটির তুলনায় তাদের এআই মডেল তৈরিতে খরচ হয়েছে বহুগুণ কম।এর প্রেক্ষিতেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এআই ভিত্তিক কোর্স চালু ও ভর্তি প্রক্রিয়া সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।
চীন প্রথমবারের মতো শক্তিশালী শিক্ষিত জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে শিক্ষা খাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নত মানের শিক্ষা নিশ্চিত করাই এ পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য।