তুঙ্গে পৌঁছেছে চীন ও কানাডার মধ্যে চলা স্নায়ু যুদ্ধ। এক চীনবিরোধী কানাডীয় আইনপ্রণেতাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে টরেন্টোতে নিযুক্ত এক চীনা কূটনীতিকের বিরুদ্ধে। এরপরই চীনা কূটনীতিক ঝাও ওয়েইকে বহিষ্কার করেছে কানাডা সরকার। বিষয়টি নিয়ে আবারও তুঙ্গে উঠেছে চীন-কানাডা উত্তেজনা। এ খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
খবরে জানানো হয়, ঝাও ওয়েই কানাডীয় আইনপ্রণেতা মাইকেল চংকে সম্প্রতি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে কানাডা। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি সোমবার এক বিবৃতিতে জানান, কানাডীয় আইনপ্রণেতা চীনে উইঘুরে সংখ্যাঘরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায় নিয়ে মন্তব্য ইস্যুতে চীনা কূটনীতিক ঝাও ওয়েইকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কানাডীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইঘুর মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি চীনের আচরণের সমালোচনা করা কানাডার আইনপ্রণেতাকে টার্গেট করার চেষ্টা করেছেন চীনা কূটনীতিক। এর জবাবেই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এদিকে নিজেদের কূটনীতিক বহিষ্কারে তাৎক্ষণিক নিন্দা জানিয়েছে অটোয়ার চীনা দূতাবাস। ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, চীন কঠোরভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তবে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোলি বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও ধরণের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না কানাডা।
চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো আগ্রহই চীনের নেই।
চীনের সিনজিয়াং-এ সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের উপর নির্যাতন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব আন্তর্জাতিক মহল। যদিও চীন এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু বারবারই বেইজিংয়ের নানা আপত্তিকে উড়িয়ে জোরাল হয়েছে উইঘুর নির্যাতনের দাবি। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা প্রায়ই উইঘুর ইস্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে। কানাডাও তার ব্যতিক্রম নয়।