চা বাগানের শ্রমিকরা ঠিক যেভাবে পিঠের দিকে ঝুড়ি ঝুলিয়ে চা তোলেন, সেইভাবে চা বাগানে চা পাতা তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াং মহকুমার মকাইবাড়ি চা বাগানে একেবারে অন্য এক দৃশ্য দেখা গেল। পারিবারিক অনুষ্ঠান ও সরকারি কর্মসূচির কারণে ৭ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ সফর করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ছেলে আবেশের বিয়ে উপলক্ষে কার্শিয়াংয়ে এসে মকাইবাড়ি টি এস্টেটের ম্যানেজারের বাংলোয় রয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বিয়ের অনুষ্ঠানে না গেলেও বিয়ের পর নবদম্পতি আসবেন মমতার আশীর্বাদ নিতে। এরআগেই বৃহস্পতিবার সকালে জনসংযোগ কর্মসূচিতে নেমে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন চা পাতা তোলার পাশাপাশি চায়ের কাপেও চুমুকও দেন তিনি। সুযোগ সুবিধার বিষয়ে বিশদ কথা বলেন বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে। সবুজে ঘেরা চা বাগানের মাঝে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে সামনে পেয়ে চা বাগানের শ্রমিকরা তাঁদের নিজস্ব ভাষায় গান গেয়েও শোনান। আর তাতে তাল মেলাতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
মমতা বলেন, পাহাড় এবং সমতলের মধ্যে ঐক্যের বাঁধন তৈরি হয়েছে। আমি কিন্তু মুখে বলি না। আমি রক্তের সম্পর্ক দিয়ে করে দেখাই। আমি খুব খুশি আজ। চা বাগান ভাল থাকুক, চা শ্রমিকরা ভাল থাকুক।
কোনো সফরে গিয়ে সেখানকার মানুষ, এলাকাবাসীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মিশে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। অতীতেও দার্জিলিং সফরে মমতার এমন ভিন্নধর্মী জনসংযোগের ঘটনা দেখা গেছে। এর আগে পাহাড়ি অঞ্চলে সফরে গিয়ে ফুচকা ও মোমো বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার এমন জনসংযোগ বার বার নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে ভাইপোর বিয়ের অনুষ্ঠানে শেষে শুক্রবার দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কার্শিয়ং-এ একযোগে গণবণ্টন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন মমতা। তারপর শনিবার ৯ ডিসেম্বর হেলিকপ্টারযোগে আলিপুরদুয়ার পৌঁছে সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পরদিন রোববার আলিপুরদুয়ারে আরেক গণবণ্টন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। সোমবারেও জলপাইগুড়ির বানারহাটে আরও একটি গণবণ্টন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। ওইদিন রাতে উত্তরকন্যায় থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির কৃষকদের মধ্যে গণবণ্টন কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। সেখান থেকে সেদিন বিকেলে কলকাতা ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী।