পারমাণবিক বোমা বানানোর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে ইরানের। চাইলেই তারা এ ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে পারে। কিন্তু এমন অস্ত্র তৈরির কোনো উদ্দেশ্য তাদের নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি। ফার্স নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত জুলাই মাসে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির শীর্ষ উপদেষ্টা কামাল খাররাজি একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন।
সে বিষয়টি উল্লেখ করে মোহাম্মদ ইসলামি বলেন, খাররাজি এটা উল্লেখ করেছেন যে ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে। তবে এ জাতীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন সরকারি কোনো এজেন্ডায় নেই।
ইতোমধ্যেই ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তেহরানের পরমাণু চুক্তিতে উল্লেখ করা নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে এটি ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের বেশি। তবে পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রয়োজন।
২০১৮ সালে এই চুক্তি থেকে সরে আসেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই চুক্তির আওতায় ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে দেশটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ এবং পারমাণবিক কর্মসূচি কমিয়ে আনে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে আসায় ক্ষুব্ধ হয় তেহরান।
সম্প্রতি নিজেদের পরমাণু স্থাপনা থেকে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নজরদারি ক্যামেরা সরিয়ে ফেলেছে ইরান। ইরানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, পরমাণু স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের জন্য যে নজরদারি ক্যামেরা বসানো হয়েছে তা খুলে ফেলা হচ্ছে। আইএইএয়ের বোর্ড অব গভর্নর্সদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির ইরানের প্রতি অযৌক্তিক আচরণের কারণে এই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তেহরান।