বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি জোহানা মাজিবুকো ১২৮ বছর বয়সে মারা গেলেন। জোহানা মাজিবুকো দক্ষিণ আফ্রিকার নর্থ ওয়েস্ট প্রভিন্সের ক্লার্কসডর্পের (উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের) জোবার্টনে তার নিজ বাড়িতে শুক্রবার মারা যান। খবর ডেইলি মেইলের।
থান্ডিওয়ে ওয়েসিনিয়ানা আরও বলেন, তিনি ভুট্টার খামারে বড় হয়েছেন। কখনো স্কুলে যাননি এবং পড়তে বা লিখতে পারতেন না। তিনি তিন শতাব্দী বেঁচে আছেন এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা, বর্ণবাদ এবং দুটি বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন।
যদিও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস দ্বারা তাকে কখনই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী হিসেবে যাচাই করা হয়নি। তার আইডি ডকুমেন্ট রয়েছে, যা প্রমাণ করে যে তিনি ১১ মে ১৮৯৪ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। মে মাসে ১২৯ বছর হবে।
তিনি ১২ মে, ২০২২-এ তার ১২৮তম জন্মদিন উদযাপন করেছিলেন। তিনি ১২ ভাইবোনের মধ্যে একজন ছিলেন, যার মধ্যে তিন ছোট ভাই এখনো বেঁচে আছেন। তার সাতটি সন্তান ছিল, যাদের মধ্যে দুটি এখনো জীবিত আছেন। তার ৫০টিরও বেশি নাতি-নাতনি রয়েছে।
সম্প্রতি গত বছর জোহানা মাজিবুকো তার ১২৮তম জন্মদিন উদযাপন করেছেন৷ তখন ক্লার্কসডর্পের জোবারটন থেকে তার সমর্থকরা জোহানা মাজিবুকো বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছেন।
মাজিবুকোকে শনিবার ক্লার্কসডর্পের জোবার্টনে দাফন করা হবে।
২০২৩ জানুয়ারিতে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ফ্রান্সের লুসিল র্যা ন্ডন তার বয়স ছিল ১১৮ বছর। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানা মাজিবুকো ১২৮ বছর।