ইতিহাসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে ভারত। সব ঠিক থাকলে বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে ভারতের চন্দ্রযান-৩।
এদিকে রোববার (২০ আগস্ট) চাঁদ ছুঁতে গিয়ে রাশিয়ার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে। চাঁদের বুকে ভেঙে পড়েছে রুশ মহাকাশযান লুনা -২৫। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এর আগে কোনো দেশের মহাকাশযান সফল অবতরণ করতে পারেনি। ফলে চন্দ্রাভিযানে বুধবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর কাছে এক অগ্নিপরীক্ষাই বটে।
এরই মধ্যে চাঁদের আরও কাছে পৌঁছে গেছে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। রোববার রাশিয়ার আশাভঙ্গের খবর প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণ আগে টুইট করে চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণের সময় জানিয়ে দেয় ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো।
রোববার দুপুর ২টা ১২ মিনিটে ইসরোর পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, আগামী বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটিতে নামবে ভারতীয় মহাকাশযান।
চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। মাঝে আর মাত্র দুটো দিন। তারপরই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রোববার ইসরোর টুইট-বার্তার কিছু সময় পরেই চন্দ্রাভিযানে রাশিয়ার স্বপ্নভঙ্গের খবর প্রকাশ্যে আসে। যা উস্কে দিয়েছে ২০১৯ সালে ভারতের চন্দ্রযান ২-এর স্মৃতি।
সেবার চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণ করতে পারেনি ভারতের চন্দ্রযান। চাঁদের বুকে দেশের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল।
২০১৯ সালের সেই ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার অনেক সাবধানেই চাঁদের পা রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত। সেই পরিকল্পনা অনেকটাই সফল হয়েছে। ধীরে ধীরে চাঁদের কাছে পৌঁছেছে ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। মূল মহাকাশযান থেকে বিচ্ছেদের পর গতি কমিয়েছে ভারতীয় চন্দ্রযান।
রোববার দ্বিতীয় দফায় গতি কমানো হবে। পাখির পালকের মতো আলতো করে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানো হবে ভারতীয় চন্দ্রযানকে। যাকে ‘সফ্ট ল্যান্ডিং’ বলা হয়। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই ‘সফ্ট ল্যান্ডিং’ করাই যে কোনো মহাকাশযানের কাছে চ্যালেঞ্জ। যা করতে ব্যর্থ হয়েছে রুশ যান। ভারতও ব্যর্থ হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। এখন ভারতের চন্দ্রযান বুধবার সেই লক্ষ্যপূরণ করতে পারে কি না, সেটাই দেখার।