ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিকল্পনায় গাজার শাসনভার ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের কাছে থাকলেও অঞ্চলটিতে ইসরায়েলের সামরিক উপস্থিতি থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনায় ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের কোনো উপস্থিতি থাকবে না বলেও দাবি করা হয়েছে।
পরিকল্পনায় বাদ দেওয়া হয়েছে বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনের বিষয়টিও। অর্থাৎ, গাজা পুনর্গঠনের কোনো দায়ভার নেবে না ইসরায়েল। নিজের এই প্রস্তাবের বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত জানিয়েছেন, তিনি ধরেই নিয়েছেন যে গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করে ফেলবে ইসরায়েল ও সংগঠনটি তাদের জন্য আর হুমকি হয়ে দাড়াতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, তবে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনীর উপস্থিতি বজায় থাকবে ও প্রয়োজনে যেকোনো সময় গাজার অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের অভিযান চালানোর অধিকার তাদের থাকবে। এ বিষয়ে গ্যালান্ত সাংবাদিকদের বলেন, গাজাবাসী যেহেতু ফিলিস্তিনি, তাই ফিলিস্তিনিরাই গাজার শাসনে থাকবে। তবে শর্ত হবে যে, কোনো ধরনে ঝুঁকি বা হুমকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তৈরি করা যাবে না।’
তবে গাজার প্রশাসনে কোনো ইসরায়েলির উপস্থিতি না থাকার বিষয়টি নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে নেতানিয়াহু সরকারের কট্টরপন্থী অংশ। তাদের একজন অর্থমন্ত্রী বেজেলাল স্মতরিচ। তার ইচ্ছা, গাজায়ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপন করা হবে। তবে গ্যালান্তের পরিকল্পনায় এ বিষয়ে কোনো কিছুর উল্লেখ না থাকায় প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছেন স্মতরিচ।
গত বছরের ৭ অক্টোবর সীমান্তবেড়া ভেঙে ইসরায়েলে ঢুকে পড়েন হামাসের যোদ্ধারা। সেদিন তাদের হামলায় অন্তত ১ হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয় ও অন্তত ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে হামাস। জবাবে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় তিন মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার।