ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির ‘সংবাদ প্রকাশের ধরণের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভে কঠোর হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে লন্ডনের পুলিশের বিরুদ্ধে। শহরের মধ্যাঞ্চলে বিবিসি অফিসের বাইরে তিন জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের পর প্রত্যক্ষদর্শীরা মেট্রোপলিটন পুলিশকে ‘হিংসাত্মক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
একজন বিক্ষোভকারী মিডল ইস্ট আইকে বলেন, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ তাকে বারবার ঘুষি মারে।
তিনি বলছিলেন, একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করার জন্য একদল অফিসার এক লাইনে ভিড়ের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেল। আমরা পিছু হটতে শুরু করলাম এবং ‘এটা দমন-পীড়ন’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করলাম। তখন পুলিশ বিক্ষোভকারীদের টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে দিল।
রাজীব সিনহা আরও বলেন, পুলিশের সংখ্যা জনতার চেয়ে অনেক বেশি ছিল। তিনি অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজ তুলে ধরেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে, অফিসাররা উপস্থিত কয়েকজনকে মারধর করছেন।
এদিকে, বিক্ষোভের অন্যতম সংগঠক ইয়ুথ ডিমান্ডের একজন মুখপাত্র লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের বিরুদ্ধে ‘চরম পুলিশিং’ অভিযোগ করেছেন। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে তিনি বলেন, আমাদের চরম পুলিশি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবুও চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে সমাবেশ করার জন্য আমরা একত্রিত হয়েছিলাম।
চলতি বছরের শুরুর দিকে জানুয়ারিতে জাতীয় প্যালেস্টাইন মার্চের সময় বিবিসির বাইরে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করার জন্য পুলিশ বিধিনিষেধ আরোপ করে।
এই বিধিনিষেধ ভঙ্গ করার অভিযোগে অফিসাররা বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে, যার মধ্যে ক্রিস নাইনহ্যামও রয়েছেন। যিনি ন্যাশনাল মার্চ ফর প্যালেস্টাইনের জাতীয় ‘স্টুয়ার্ড’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ‘স্টপ দ্য ওয়ার কোয়ালিশন’র সভাপতিত্ব করেন। প্যালেস্টাইন সংহতি অভিযানের সভাপতি বেন জামালকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল।
গত জানুয়ারিতে বিক্ষোভের পর, পুলিশ আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে। যার মধ্যে ব্রিটেনের মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাঘাদ আলতিক্রিতিও রয়েছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) পুলিশের সঙ্গে তারও দেখা করতে হয়। পরে তিনি ‘পুলিশের ভয় দেখানোর প্রচেষ্টার’ নিন্দা করেন।