English

30 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ৮, ২০২৫
- Advertisement -

গাজা অভিযান বন্ধ হওয়ার প্রশ্নই নেই: নেতানিয়াহু

- Advertisements -

জাতিসংঘের চাপের মুখে নতি স্বীকার করলেন না নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ালো জার্মানি ও অ্যামেরিকা।

আপাতত গাজা অভিযান বন্ধ হচ্ছে না। যুদ্ধবিরতির প্রশ্নই নেই। কূটনৈতিক চাপ কিংবা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণহানি কোনোকিছুই ইসরায়েলকে সংঘাত থেকে দূরে সরাবে না, জানিয়ে দিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

বস্তুত, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ সভা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। কিন্তু ইসরায়েল তাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। হামাসকে খতম না করে এ লড়াই থামবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) ইসরায়েল যাচ্ছেন অ্যামেরিকা এবং জার্মান প্রতিনিধি। অ্যামেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বৃহস্পতিবার জেরুজালেম পৌঁছাবেন। অন্যদিকে বাভারিয়ার প্রধান মারকুস সোদার ইসরায়েলে পৌঁছে গেছেন।

সোদার বিমানে ওঠার আগে জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলকে সমর্থন করেন। কারণ ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। ৭ অক্টোবর যা ঘটেছে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল এই পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্যদিকে, গাজার সাধারণ মানুষের কথা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছেন, সেখানেও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, যা অনভিপ্রেত। কিন্তু কিন্তু ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে।

এছাড়া, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাভারিয়ার প্রধান।

সম্প্রতি একটি ওপিনিয়ন পোলের আয়োজন করা হয়েছিল। ফিলিস্তিন এবং ওয়েস্ট ব্যাংকে এই ভোটের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে দেখা গেছে, যে ওয়েস্ট ব্যাংকে হামাসের কার্যত কোনো সমর্থন ছিল না, সেখানে হামাসের গ্রহণযোগ্যতা কয়েকগুণ বেড়েছে। ওয়েস্ট ব্যাংকের ৪২ শতাংশ মানুষ ফিলিস্তিনিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সার্ভে রিসার্চকে জানিয়েছেন তারা হামাসকে সমর্থন করছেন। যেখানে মাত্র তিন মাস আগেও ওয়েস্ট ব্যাংকের মাত্র ১২ শতাংশ মানুষের সমর্থন হামাসের সঙ্গে ছিল।

ওয়েস্ট ব্যাংক এবং ফিলিস্তিনের অনেকেই মনে করেন, এখান থেকে আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে হামাস। তারাই গাজা পরিচালনা করবে। ইসরায়েল ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারবে না। ১০ জনের মধ্যে একজনেরও কম বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাস যুদ্ধাপরাধ করেছে। ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে বহু মানুষকে হত্যা এবং বহু মানুষকে বন্দি করে আনা অন্যায় হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে লড়াই শেষ হওয়ার আগে রাজনৈতিক সমাধান সূত্রে পৌঁছানো সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ অ্যামেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ওই সমাধান সূত্রে ফিলিস্তিনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। কারণ হামাসকে তারা জঙ্গি সংগঠন বলে মনে করে। কিন্তু বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) হামাসের প্রধান ইসমায়েল হানিয়ে জানিয়েছেন, ফিলিস্তিন আলোচনায় হামাসকে বাদ দিলে তারা তা মেনে নেবে না।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন