গাজায় শিশুদের পোলিও টিকা দেওয়ার জন্য লড়াইয়ে ‘মানবিক বিরতি’ দিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এ কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন বলেছেন, গাজা উপত্যকার প্রায় ৬ লাখ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে আগামী রোববার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।
গাজার মধ্য, দক্ষিণ ও উত্তর অংশে তিন ধাপে এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে। প্রতি ধাপে টানা তিনদিন রোজ স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত লড়াই বন্ধ থাকবে।
গাজায় প্রায় ২৫ বছর পর কিছুদিন আগে ১০ মাস বয়সী এক শিশুর শরীরে পোলিও ভাইরাস শনাক্ত হয়। এতে শিশুটির শরীরের একাংশ অবশ (প্যারালাইজড) হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এরই মধ্যে ১২ লাখ ৬০ হাজার পোলিও টিকা পৌঁছে গেছে। আরও চার লাখ টিকা শিগগির সেখানে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় গাজায় এই টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হবে। এর জন্য দুই হাজারের বেশি মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য, গাজার অন্তত ৯০ শতাংশ শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়া। ভাইরাসটি প্রতিরোধে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন খুবই জরুরি।
কোনো এলাকায় তিনদিনের মধ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব না হলে চতুর্থদিনও লড়াইয়ে বিরতি থাকবে বলে জানা গেছে।
হামাসের কর্মকর্তা বাসেম নাইম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি শিশুদের সেবা ও সুরক্ষার স্বার্থে এই টিকাদান কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
তবে ইসরায়েলি প্রধামন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, টিকাদানের জন্য লড়াই স্থগিত রাখার বিষয়টি কোনো ‘অস্ত্রবিরতি নয়’।