English

20 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

গাজায় পানি শেষ!

- Advertisements -

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন চালানোর পাশাপাশি পৈশাচিকতা দেখাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসকে ‘উপড়ে ফেলতে’ বদ্ধপরিকর দেশটি গাজায় পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

খাবার বা সাধারণ ব্যবহারের পানি অঞ্চলটিতে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম বলেছে, অবরুদ্ধ গাজায় পানীয় জল প্রায় শেষ। লোকেরা খাবার পানি না পেয়ে ময়লাযুক্ত পানি পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছে।

সংস্থাটি বলেছে, অনুমান করা হচ্ছে এখন জনপ্রতি মাত্র তিন লিটার পরিষ্কার পানি পাওয়া যাচ্ছে।

জাতিসংঘ বলেছে, গাজার মানুষের জন্য ব্যাপক পানি প্রয়োজন। জরুরি মানবিক সহায়তায় ন্যূনতম ১৫ লিটার করে পানি প্রয়োজন এখানকার মানুষের জন্য।

আল জাজিরার লাইভ আপটেডে বলা হয়েছে, গাজায় বোতলজাত পানির সরবরাহ হ্রাস পাচ্ছে। বোতলের পানির দাম এত বেশি হয়েছে যে একটি পরিবারের পক্ষেও কেনা সম্ভব হবে না।

ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না দিতে পেরে তারা হতাশ হয়ে পড়ছেন। মানুষ পানি, খাবার পাচ্ছে না। বিশেষ করে তাদের সবচেয়ে বেশি পানি প্রয়োজন। খেতে তো পারছেই না, সাধারণ ব্যবহারের জন্যও তাদের কাছে পানি নেই।

গাজা উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব স্বাস্থ্যের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন জাতিসংঘের সংস্থার প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। তিনি মনে করেন, গাজায় পানি ফুরিয়ে যাওয়া মানে জীবন ফুরিয়ে যাওয়া।

গাজা সাধারণত ইসরায়েল থেকে পাইপলাইন, ভূমধ্যসাগরে ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট ও কূপসহ কয়েকটি উৎস থেকে খাবার ও ব্যবহারের পানি পায়। গত ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার পর ইসরায়েল বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে গাজায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানির উৎসগুলো থেকে সংগ্রহও হ্রাস পেয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, পানি সরবরাহ মানবাধিকারের অংশ এবং এটি মৌলিক চাহিদার একটি। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানির সরবরাহ প্রয়োজন। সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ব্যাপক মানবিক দুর্ভোগ কমাতে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন