অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় হানেন আলি আল কাতশান নামের এক নারী সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত ৯৫ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
সামাজিক মাধ্যমে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে আল কাতশানের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ছবি থেকে জানা যাচ্ছে যে, তিনি গাজার একটি রেডিও স্টেশনে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় নিহত ২৫ জনের মধ্যে আল কাতশানও ছিলেন। তার পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যও নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৯০ জন নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। দক্ষিণ গাজার নাসের হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত এক শিশু নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, তিনি উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলার কারণে শঙ্কিত।
অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে যে, তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর একটি ট্যাংক বিধ্বংসী মিসাইল স্কোয়াডে আঘাত হেনেছে। অপরদিকে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ।
পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, হিজবুল্লাহর ওপর ইসরায়েলি হামলায় দামেস্কের কাছে অন্তত দুজন নিহত হয়েছে।
শরণার্থী শিবিরের এক বাসিন্দা উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছিলেন। তিনি আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, রোববার রাতে হামলার ঘটনায় হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।