গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একটি বর্ধিত পরিবারের ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা শনিবার এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজা শহরের একটি ভবনে শুক্রবারের ওই হামলা ছিল ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সবচেয়ে ভয়াবহ।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল নিহতদের নামের একটি আংশিক তালিকা প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যায়, আল-মুগরাবি পরিবারের ১৬ জনই পরিবারটির প্রধান। নিহতদের মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছেন। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের এক প্রবীণ কর্মী ইসাম আল-মুগরাবি, তাঁর স্ত্রী এবং তাদের পাঁচ সন্তান রয়েছেন। এজেন্সির প্রধান আচিম স্টেইনার বলেছেন, ‘ইসাম এবং তাঁর পরিবারের ক্ষতি আমাদের সবাইকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। এই যুদ্ধ শেষ হওয়া উচিত।’
ইসরায়েল এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক চাপকে প্রতিহত করেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাজা থেকে আরও ৭ শতাধিক মানুষকে ইসরায়েলে স্থানান্তর করেছে।
এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা করে বিশ্বনেতা হলেও গাজার বিতর্কিত ভূমিকায় বিশ্ব সমর্থন থেকে এখন অনেকটাই বিচ্ছিন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রাশিয়ার হামলার পর ইউক্রেনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিশ্বব্যাপী নন্দিত হয় যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন মিত্রদের একত্র করতে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলো সামনে এনেছিলেন। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি চরম বর্বরতার পরও দেশটিকে সামরিক সমর্থন ও সহযোগিতার ফলে সেই ভাবমর্যাদা এখন ম্লান গোটা বিশ্বে। এমনকি বাইডেন এখন নিজ দেশের জনগণের কাছেই গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন। ভোটাররা ব্যাপকভাবে তাঁর এই যুদ্ধ পরিচালনাকে পরিত্যাগ করেছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও ভয়েস অব আমেরিকার।
সম্প্রতি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেওয়া থেকে বিরত ছিল বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়ে উত্থাপিত রেজুলিউশনটি থেকে বিরত থাকলেও সেই ভাবমর্যাদা ফেরেনি।
সাবেক মার্কিন কূটনীতিক বারবারা বোডিন বলেন, ‘আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি।’