ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর জন্য সর্বোচ্চ পরিমাণ আর্থিক সহায়তা সংগ্রহে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কুয়েত। এরই অংশ হিসেবে দেশজুড়ে ‘কুল্লুনা গাজ্জাহ’ বা ‘আমরা সবাই গাজা’ শীর্ষক তহবিল সংগ্রহের পুরো কার্যক্রম কিউআর কোডের মাধ্যমে চলছে।
কুয়েত সিটির সাফাত স্কয়ারে আল-সালাম অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে চলছে এই কার্যক্রম। বড় বড় অক্ষরে রক্তিম বর্ণে জ্বলে উঠছে সেখানকার টাওয়ারগুলো।
সহায়তা তহবিলে নিজেদের লভ্যাংশ দিয়ে অংশ নিচ্ছে ৮০টির বেশি কম্পানি, কারখানা, হোটেলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা। গতকাল পর্যন্ত এই অভিযানে আট লাখ কুয়েতি দিনারের বেশি অর্থ সংগৃহীত হয় বলে জানা গেছে।আল-সালামের চেয়ারম্যান ড. নাবিল আল-আউন বলেছেন, ‘এক মাস ধরে ‘কুল্লুনা গাজ্জাহ’ তহবিল সংগ্রহের অভিযান চলছে। আমরা এখন পর্যন্ত আমাদের সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ২১টি বিমানে ত্রাণসামগ্রী পাঠিয়েছি।তা ছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার সহযোগিতায় আটটি বিমানে উচ্চমানের সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। তাতে খাদ্য ও শীতবস্ত্রসহ সৌরশক্তিচালিত অ্যাম্বুল্যান্স, রেফ্রিজারেটর, বৈদ্যুতিক জেনারেটর ও উন্নতমানের সামগ্রী রয়েছে। তা ছাড়া অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে আমরা গাজায় খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি।’আল-সালামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জারি আল-বুয়াইজান বলেন, ‘গাজা উপত্যকার অধিবাসীরা নির্যাতন-নিপীড়নসহ পাশবিক নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে।ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়াতে আমরা দুই পদ্ধতিতে সহায়তা সংগ্রহ করছি। প্রথমত, এক দিনের জন্য কিউআর কোড চালু করে সারা দিনে অর্ধমিলিয়ন কুয়েতি দিনার সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, সাফাত স্কয়ারে একটি বিশাল পরিসরে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে, যার পুরো লভ্যাংশ গাজার অধিবাসীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।এই তহবিলের প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে আমরা মধ্য এশিয়ার সব সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেছি। কুয়েতের ৮০টির বেশি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশের পুরো অর্থ ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় দান করছে।