নিয়মিত আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ এবং চরম আবহাওয়ার শিকার এমন একটি দেশে ৩ লাখ ৭০ হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দ্বীপের সংখ্যা গণনা করা সহজ হতে পারে না।
জাপানের ভূগোলবিদেরা অন্তত ৬ হাজার নতুন দ্বীপের গঠন খুঁজে পেয়েছেন। একইসঙ্গে কিছু দ্বীপ বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলেও পেয়েছেন।
ডিজিটাল ম্যাপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশটির ভূগোলবিদেরা শিগগিরই ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন, জাপানের দ্বীপের সংখ্যা আসলে পূর্বে স্বীকৃত সংখ্যার দ্বিগুণ।
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৭ সালে জাপানের কোস্টগার্ড এক জরিপে ৬ হাজার ৮৫২টি দ্বীপ খুঁজে পেয়েছিল। কিন্তু নতুন জরিপ অনুসারে, দ্বীপের মোট সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ১৪ হাজার ১২৫ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন দ্বীপের সংখ্যা পূর্বের তুলনায় ৭ হাজার ২৭৩টি বেশি।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে সংসদীয় এক বিতর্কে দ্বীপের সংখ্যা নিয়ে জাপানের লিবারেল ডেমোক্র্যাটের একজন আইনপ্রণেতা বলেছিলেন, দ্বীপের সংখ্যা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বিষয় যা জাতীয় স্বার্থের সাথে সম্পর্কিত।
দ্বীপ নিয়ে নতুন জরিপটি পরিচালনা করেছে জাপানের ভূ-স্থানিক তথ্য কর্তৃপক্ষ। তাদের বক্তব্য, যদিও এটি দেশের ভূখণ্ড বৃদ্ধি করবে না, তবে এটি সামগ্রিক ভূখণ্ড সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারে। রিপোর্ট অনুযায়ী, জাপান সরকার শিগগিরই ইলেকট্রনিক ল্যান্ড ম্যাপের ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের সাহায্যে তাদের ভূখণ্ডের আরও সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি করবে। জাপানের ভূমি প্রায় ১৪৬,০০০ বর্গ মাইল বিস্তৃত, এটি বিশ্বের একাদশতম জনবহুল দেশ, যার আনুমানিক জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার।