খেরসনে রুশ হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত ও ৫৮ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। রুশ হামলার পর খেরসন শহরের রাস্তায় একাধিক রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে ছিল বলেও জানানো হয়েছে। কিয়েভের অভিযোগ, আনন্দের জন্য মানুষ হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো।
অন্যদিকে রুশপন্থী একজন কর্মকর্তা খেরসনে ওই হামলার দায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, রুশ বাহিনীর ওপর দায় চাপাতে ইউক্রেনই শহরটিতে গোলা ছুড়ে মানুষ মেরেছে।
রয়টার্স জানিয়েছে, বড়দিনের আগে খেরসনে বেসামরিক নাগরিক হতাহতের দায় দুই পক্ষ একে অপরের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি টেলিগ্রামে খেরসনে হামলা-পরবর্তী পুড়ে যাওয়া গাড়ি, চুরমার হয়ে যাওয়া জানালা ও মরদেহ রাস্তায় পড়ে থাকার ছবি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, খুব সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব ছবিকে ‘সংবেদনশীল আধেয়’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। কিন্তু এগুলো সংবেদনশীল আধেয় নয়, ইউক্রেন এবং ইউক্রেনীয়দের বাস্তব জীবন।
তিনি আরো বলেছেন, এখানে কোনো সামরিক স্থাপনা ছিল না। এটা সন্ত্রাস, এটা (নিজেদের) আনন্দ ও (ইউক্রেনীয়দের) ভয় দেখানোর জন্য হত্যা।
রাশিয়ার মনোনীত গভর্নর ভ্লাদিমির সালদো বলেছেন, কিয়েভই তার বাহিনীকে খেরসন শহরে গোলা ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এটা একটা জঘন্য রকমের উসকানি, যার লক্ষ্যই হচ্ছে রুশ সশস্ত্র বাহিনীকে দোষারোপ করা।