ভারতে ওমিক্রন সংক্রমন বাড়ছে। পরিস্থিতি সামলাতে দেশটির উত্তরপ্রদেশে নাইট কারফিউ জারি করা হয়েছে। যে কারণে রাত ১১ টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখা হচ্ছে।
কিন্তু রাজ্যের বৃহত্তম নয়ডায় রাতে এক ক্রেতা রেস্তোরাঁয় আসেন খাবার খেতে। তাকে রাতে খাবার দেয়নি রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ। এতে রেগে ওই রেস্তোরাঁর মালিককে হত্যা করলেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
হাপুরের বাসিন্দা কপিল নয়ডায় ওই রেস্তোরাঁ চালাতেন। শনিবার রাতে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। এ অবস্থায় প্রায় মধ্যরাতে তার দোকানে হাজির হন দুই আগন্তুক। তারা পরোটা চাইলে কপিলা জানান, রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। ক্রমে তা পৌঁছায় চরমে। খানিক পরে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি সেখান থেকে চলে যান। এরপর তারা ফিরে আসেন সাড়ে ৩টার দিকে। তাদের সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। একজনের গুলিতে সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন কপিল।
খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি ওই রেস্তোরাঁর মালিককে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, দুই অভিযুক্তের নাম আকাশ ও যোগেন্দ্র। গত ২-৩ বছর ধরে তারা মাঝে মাঝেই ওই রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেন। কিন্তু এতদিনের পরিচয় সত্ত্বেও কী করে সামান্য ঝগড়ার ফলশ্রুতিতে এমন নির্মমভাবে মারা হল কপিলকে, সেকথাই ভেবে পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারা ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। দুজনকেই পুলিশ হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।