কারাবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ক্ষমতাধরদের সঙ্গে আপোসে গেলেই আমার বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে সেগুলোর নিষ্পত্তি ঘটানো হবে। তাছাড়া পাকিস্তানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছে, সেটি নিরপেক্ষ নয় ও নির্বাচন কমিশনের কোনো কার্যকারীতা নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) আদিয়ালা কারাগারে মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খান বলেছেন, সাহস থাকলে ‘সাইফার ষড়যন্ত্র’ উন্মোচনের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিপক্ষ তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। গত বছর আগস্টে সাইফার মামলায় জেলে নেওয়া হয় ইমরান খানকে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে হওয়া তোশাখানা মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মরিয়ম নওয়াজ তোশাখানা থেকে একটি বিএমডব্লিউ নিয়েছেন। বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও, তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
‘পানামা কেলেঙ্কারি অনুযায়ী, মরিয়মের চারটি ফ্লাট রয়েছে। কিন্তু জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরো (এনএবি) সেই মামলাও প্রত্যাহার করে নিয়েছে। মরিয়মের মতো ব্যক্তির মামলা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে আমজাদ খান, সাদাকাত আব্বাসি ও পিটিআইয়ের যোগ্য নেতাদের মনোনয়নপত্র পর্যন্ত জমা দিতে দেওয়া হয়নি।’
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৯মে আমাকে পরিকল্পিতভাবে ভিক্টিম বানানো হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে বেআইনিভাবে। আমার দল পিটিআইকে যেভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ও হচ্ছে, তা পাকিস্তানের অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়নি।
ইমরান আরও জানান, তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২০০টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। দেশের ইতিহাসে অন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এত সংখ্যক মামলা আগে কখনো হয়নি। আর এ জন্যই তিনি এক মামলায় জামিন পেলে, অন্য মামলায় আটকে যাচ্ছেন।
ইমরান খানের দাবি, আইনের শাসন না থাকায় পাকিস্তান ক্রমেই অধপতনের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তার মতে, পিটিআইয়ের সংগ্রাম ছিল প্রকৃত স্বাধীনতার আন্দোলন। আর সমাজের দুর্বল অংশের অধিকার নিশ্চিত ও ক্ষমতাবানদের আইনের আওতায় আনাই ছিল প্রকৃত গণতন্ত্র।