ক্লিওপেট্রা-মিসরের শেষ ফারাও। মিসরীয় ইতিহাসের এক নীলনয়না রহস্য। বলা হয়, নীলাকাশ,নীল নদের নীল আর সমুদ্রের নীলসব যেন দলবেঁধে হারিয়ে যেত চোখে।
শেক্সপিয়ার থেকে শুরু করে প্রায় সব কবি-মহাকবির কলমেই ফুটে উঠেছে তার সৌন্দর্যগাথা। শুধু প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতা নয়,পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত যত রূপসীর রূপকথা মুখে মুখে ছড়িয়েছে-তাদের মধ্যে ক্লিওপেট্রাই এখনো জ্বলজ্বলে নক্ষত্র। সৌন্দর্যেই শুধু নয়,বুদ্ধিমত্তাতেও ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ভীষণ শৌখিন ছিলেন। ফ্যাশন-প্রসাধনেও ছিলেন অনন্য।
এবার সেই ক্লিওপেট্রার ব্যবহৃত সুগন্ধি আবিষ্কারের পেছনে ছুটছেন জামার্নির গবেষকরা। এমনকি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কোনো ঘ্রাণ সংরক্ষণ করা উচিত চিহ্নিতকরণেও চলছে গবেষণা। সিএনএন।
চেক একাডেমি অব সায়েন্সের প্রচীন ও মধ্যযুগীয় চিন্তাধারার গবেষক শন কফলিন, প্রাচীন মিসরীয় গ্রন্থে লিপিবদ্ধ পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে ও মন্দিরের দেওয়ালের শিলালিপি থেকে ক্লিওপেট্রা নিজে যে সুগন্ধি ব্যবহার করতেন তা পুনরায় তৈরির চেষ্টা করছেন।
জার্মানির জেনার জার্মানির জেনার ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব জিওএনথ্রোপোলজির আর্কেওলজির ডক্টরাল রিসার্চার বারবারা হুবার বলেন, ঘ্রাণ আবিষ্কারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এর ক্ষণস্থায়ীত্ব।
তিন আরও বলেন, যে যৌগগুলো থেকে ঘ্রাণ উৎপন্ন হয় তার উৎস চলে গেলে বাতাসে তা বাষ্পীভ‚ত হয়ে যায় যা পরবর্তী সময়ে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এসব চ্যালেঞ্জ সত্তে¡ও কয়েকটি নতুন ও শক্তিশালী বায়োমোলিকুলার পন্থা বিজ্ঞানীদের প্রাচীণ ঘ্রাণ খুঁজে পেতে সাহায্য করছে।
আরও জানান, ঘ্রাণ আবিষ্কারে ক্রোমোটোগ্রাফি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা অধ্যয়ন করতে পারেন ধূপের অথবা রান্নার পাত্র, খাদ্য সঞ্চয় করা হতো এমন পাত্রের অদৃশ্য জৈব আণবিক অবশিষ্টাংশগুলোর। ক্রোমোটোগ্রফি হলো, একটি মিশ্রণ থেকে উপাদান আলাদা করার প্রক্রিয়া। ঘ্রাণ বিশ্লেষণের আরেকটি পদ্ধতি হলো ভর স্পেকটোমেট্রি।
এর সাহায্যে বিভিন্ন অণুর ওজন গণনা করে বিভিন্ন যৌগ শনাক্ত করা যায়। এছাড়াও হুবার কিছু উদ্ভিদ ভিত্তিক পণ্য যেমন, রজন, সুগন্ধি কাঠ, ভেষজ ফল ও মসলা অধ্যয়ন করার কথা বলেন ঘ্রাণ খুঁজে বের করার জন্য।