ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের অংশ হিসেবে ক্রিমিয়ায় প্রশিক্ষিত ডলফিন মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোল পোতাশ্রয়ে এসব ডলফিন মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাভাল ইনস্টিটিউট (ইউএসএনআই) এ কথা জানিয়েছে।
ইউএসএনআই জানিয়েছে, ভূউপগ্রহের চিত্রে দেখা গেছে গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালানোর শুরুর দিকে ক্রিমিয়ায় ডলফিনগুলো মোতায়েন করে।
কৃষ্ণ সাগরের নৌঘাঁটির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রশিক্ষিত ডলফিনগুলোকে মোতায়েন করে মস্কো।
কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটি বলা হয় সেভাস্তোপোলকে। এই ঘাঁটিতে অবস্থান নেওয়া রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধজাহাজগুলো ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের বাইরে থাকে। কিন্তু পানির নিচে কোনো অনুপ্রবেশকারী কিংবা ডুবুরিদের অভিযানের ঝুঁকিতে রয়েছে এই যুদ্ধজাহাজগুলো।
মার্কিন নৌবাহিনীর মেরিন ম্যামাল প্রোগ্রাম দাবি করে, ডলফিনকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব যাতে এগুলো অনুপ্রবেশকারী কোনো কিছু কিংবা ডুবুরিদের শনাক্ত করতে সহায়তা করতে পারে। এমনকি জাহাজ, পোতাশ্রয় কিংবা নৌযানের জন্য ক্ষতিকর অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো কিছু শনাক্ত করতে সহায়তা দিতে পারে এই প্রশিক্ষিত ডলফিন।
পানির নিচে শত্রুপক্ষের গুপ্তচরবৃত্তি কিংবা হামলার আশঙ্কা শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া—দুই দেশই ডলফিনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
গত ১৫ এপ্রিল কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ডুবে যায় রুশ যুদ্ধজাহাজ ‘মস্কোভা’। শুরুতে রাশিয়া দাবি করেছিল, আগুন লেগে জাহাজটি ডুবে যায়। যদিও পরে স্বীকার করে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ডুবে যায় মস্কোভা।