ক্যান্সার আক্রান্ত এক নারীর পাশে দাঁড়িয়ে সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছে ভারতের ত্রিপুরার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে অনুসূয়া ঘোষ।
সংঘমিত্রা শালিগ্রাম মানে নামে ৫০ বছর বয়সী ওই ক্যান্সারের রোগীকে চুল দান করেছে সে।
দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত নারী মহারাষ্ট্র রাজ্যের বাসিন্দা।
অন্যদিকে অনুসূয়া রাজধানী আগরতলার বড়দোয়ালী এলাকার বাসিন্দা। সেখানের সমাজসেবী অনিমেষ ঘোষ এবং আগরতলার মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল বিদ্যালয়ের এন এস এস প্রোগ্রাম অফিসার সীমা চাকমার মেয়ে সে। স্থানীয় বিদ্যালয়ে নার্সারিতে পড়ে অনুসূয়া।
জানা যায়, নাগপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে গিয়ে সংঘমিত্রা শালিগ্রামের মাথার সব চুল ঝরে যায়। মাথায় চুল লাগানোর জন্য ওই নারী সাধারণের প্রতি আবেদন জানান।
প্রকৃতি ফাউন্ডেশন নামে এক সংগঠনের মাধ্যমে সংঘমিত্রার আবেদনের কথা জানতে পারেন অনুসূয়ার বাবা অনিমেষ ঘোষ। তখন স্ত্রী সীমাকে বিষয়টি জানান তিনি।
তারা সিদ্ধান্ত নেন তাদের মেয়ে অনুসূয়ার মাথার ঘন লম্বা চুলগুলো ক্যান্সার আক্রান্ত ওই নারীর কল্যাণে দান করবেন।
মেয়েকে বিষয়টি জানালে সঙ্গে সঙ্গে খুশি মনে রাজি হয়ে যায় অনুসূয়া। এরপর তার চুলগুলো কেটে নেওয়া হয় এবং কুরিয়ারের মাধ্যমে নাগপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে এ কথা জানিয়েছেন অনসূয়ার মা সীমা চাকমা।
এদিকে এ পরিবারের এই অসাধারণ পদক্ষেপের জন্য রাজ্যবাসী গর্বিত। তাদের এই দানের মাধ্যমে একজন মানসিক বিপর্যস্ত নারী রোগীর মাথার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরে আসবে। সেই প্রয়াসের জন্য অনুসূয়া ও তার বাবা-মাকে বিশেষ অভিনন্দন জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। প্রকৃতি ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার বিশ্বজিৎ দেবও তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
ছোট্ট অনসূয়া ঘোষের মাতা সীমা চাকমা জানিয়েছেন, তারা এই কাজটি করতে পেরে খুবই আনন্দিত। অনসূয়াও খুব খুশি। সামাজিকভাবে মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জনগণকে আবেদন জানায় পরিবারটি।