আরও তিনটি সামরিক স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পাশাপাশি ড্রোন ও পারমাণবিক অস্ত্রে মনোযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার অংশ হিসেবেই নতুন অস্ত্র সরঞ্জাম তৈরি করা হবে। সম্প্রতি রেকর্ড সংখ্যাক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
চলতি বছরের নভেম্বরে মহাকাশে একটি স্পাই স্যাটেলাইট পাঠায় দেশটি। তাছাড়া চলতি মাসে তৃতীয়বারের মতো আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষাও চালায়। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো স্থানে হামলা চালানো সম্ভব।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পাঁচ দিনের দলীয় বৈঠকের শেষে বলা হয় ২০২৪ সালের মূল নীতিগত সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে এসব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।
বৈঠকের শেষ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, যুদ্ধকে অপরিহার্য করে তোলা হচ্ছে।
কিম বলেন, আমাদের লক্ষ্য করে শত্রুদের বেপরোয়া আচরণে কোরিয়া উপদ্বীপে যে কোনো সময় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তিনি সামরিক বাহিনীকে দক্ষিণ কোরিয়ার সমগ্র ভূখণ্ডকে দমন করার জন্য নিদের্শনা দেন। যে কোনো হামলার জবাবে পারমাণবিক বোম ব্যবহারের জন্যও প্রস্তুত থাকার কথা বলেন উত্তর কোরিয়ার এই স্বৈরশাসক।
এদিকে লোহিত সাগরে ফের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার খবর পাওয়া গেছে। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, মারস্ক হ্যাংজু কন্টেইনার জাহাজটিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে লোহিত সাগর পাহারায় টাস্কফোর্স গঠনের পর এটাই প্রথম হামলা।
একই দিন লোহিত সাগরে মার্কিন একটি যুদ্ধজাহাজ থেকে দুইটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে। বলা হয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। সেখানে তারা এখন পর্যন্ত দুই ডজনের বেশি জাহাজে হামলা চালিয়েছে।