গত দুই বছরে টানা চারটি মৌসুম কেনিয়ার বড় অংশে খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে অথবা মোটেও হয়নি। এতে মানুষের পাশাপাশি চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে বন্যপ্রাণীরাও।
যেমন- একটি হাতি দিনে প্রায় ২৪০ লিটার পানি পান করে থাকে। কিন্তু খরায় জলাধারগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় তৃষ্ণায় মারা গেছে বহু প্রাণী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই খরা তৃণভোজী প্রাণী, বিশেষ করে ওয়াইল্ডবিস্ট ও জেব্রাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বোসেলি, লাইকিপিয়া-সাম্বুরু ও সাভোসহ কেনিয়ার সবচেয়ে বেশি পর্যটক আকৃষ্ট করা জাতীয় উদ্যান এবং সংরক্ষক্ষিত বনাঞ্চলগুলো।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্যমতে, হর্ন অব আফ্রিকায় টানা চারটি বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সোমালিয়া, ইথিওপিয়া এবং কেনিয়ায় ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এতে বিপদে পড়েছে অন্তত ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, গত চার দশকের মধ্যে এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী খরা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনের শুরুতেই কেনিয়ার পর্যটন, বন্যপ্রাণী ও ঐতিহ্যমন্ত্রী পেনিনা মালোনজা বলেছেন, প্রাণীদের জীবন বাঁচাতে নতুন কূপ খনন, শুকিয়ে যাওয়া জলাধারগুলোতে পানি সরবরাহসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।