কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত। চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজুর বেঁধে দেয়া সময়সীমা ১০ই মার্চ। এদিন ভারত ২৫ জন সেনা সদস্যকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এনডিটিভি এ খবর দিয়ে বলছে বাকিদের ফেরত আনা হবে এ মাসেই। উল্লেখ্য, মালদ্বীপের ভারতপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতির ভিত্তিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করা।
তবে তার পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি, মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ণ দ্বীপগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতেন ভারতীয় সেনারা। কিন্তু ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতিকে মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থি হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন দেশটির অন্যতম নেতা ও চীনপন্থি রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুইজ্জু।
গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মালদ্বীপ থেকে নিজ সেনা সদস্যদের ফিরিতে নিতে ভারতকে আহ্বানও জানান তিনি। সেই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে দেন যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সেনাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে নয়াদিল্লির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।
মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পূর্ব পর্যন্ত ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে নয়াদিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল মালদ্বীপ। তবে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে এই সম্পর্কে শীতলতা এসেছে, অন্যদিকে বেড়েছে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির আশঙ্কা।
গত জানুয়ারিতে চীন সফরে যান মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপের অবকাঠামো, জ্বালানি, সমুদ্র গবেষণা ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন তিনি। অন্যদিকে ভারত গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে নৌবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করবে দেশটি। মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।