ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে ভোলে বাবার সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে শতাধিক মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুলিশ। তারা বলছেন, অব্যবস্থাপনার কারণেই এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
গত সপ্তাহে হাথরাসে ভোলে বাবা আয়োজিত সৎসঙ্গ নামক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে ১২১ জন মারা যান। ওই ঘটনার পর থেকেই হাথরসের বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ ভোলে বাবার উপর। তার পোস্টার লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে ইট-পাথরও।ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন।
আজ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ভেন্যু পরীক্ষা না করেই সৎসঙ্গ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি ‘সৎসঙ্গে’র অনুমতি দেওয়ার আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেননি। এমনকি, বিষয়টি সম্পর্কে তার ঊর্ধ্বতন কর্তাদেরও জানাননি।
রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের ছয়জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (আগরা) অনুপম কুলশ্রেষ্ঠ এবং আলিগড়ের ডিভিশনাল কমিশনার চৈত্রা ভি-র নেতৃত্বে এই তদন্ত রিপোর্ট তৈরি হয়। পুলিশের তদন্তকারী দলের সদস্যেরা ১২৮ জন প্রত্যক্ষদর্শী এবং দুর্ঘটনার দিন সেখানে উপস্থিত থাকা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। তার ভিত্তিতেই রিপোর্ট প্রস্তুত করা হয়েছে।
পুলিশের দেওয়া রিপোর্টে স্পষ্টই বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ভিড়ের কারণেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে হাথরসে। সৎসঙ্গে’ ৮০ হাজার ভক্ত উপস্থিত থাকবেন বলে পুলিশকে জানিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা। কিন্তু দুর্ঘটনার দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আড়াই লাখ মানুষ ।