একজনের নাম মুইক। অন্যজন স্যান্ডি। ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দুই ‘অ-মানুষ’ বন্ধু। যাদের চোখে হারাতেন রানি।
সেই ‘মুইক’ ও ‘স্যান্ডি’-র উত্তরাধিকার যাবে কার হাতে? এতো আর টাকা-পয়সা, গয়নাগাঁটি নয়! রানির প্রয়াণের পর সেই চিন্তাতেই ঘুম উড়েছিল ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সম্পত্তির ভাগাভাগির দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের।মায়ের ‘অ-মানুষ’ বন্ধুদের তো আর রাস্তায় ফেলে দেওয়া যায় না। শেষে এগিয়ে এলেন রানির তৃতীয় সন্তান প্রিন্স অ্যান্ড্রু ও তার সাবেক স্ত্রী। ‘মুইক’ ও ‘স্যান্ডি’-র ভবিষ্যতের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন তারাই।
কারা এই ‘মুইক’ ও ‘স্যান্ডি’? রানির সারমেয় প্রেমের কথা বিশ্বজনবিদিত। বেঁচে থাকতে ছয়টি কুকুর পুষেছিলেন তিনি। রানির সেই প্রিয় পোষ্যদের মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছিল কর্গি প্রজাতির এই দুই সারমেয়।
ছোট ছেলে প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং তার সাবেক স্ত্রী সারাহ ফার্গুসনের থেকে উপহার হিসেবে ‘মুইক’ ও ‘স্যান্ডি’-কে পেয়েছিলেন রানি। রাজ পরিবারের অন্দরমহলের হাঁড়ির খবর রাখা সংবাদপত্রগুলোর দাবি, ছোট ছেলে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন রানি। আর সময় পেলেই মা-কে নানা ধরনের উপহারে ভরিয়ে দিতেন প্রিন্স অ্যান্ড্রু।
রানির সারমেয় প্রেমের কথা মাথায় রেখে বিয়ের পর স্ত্রীর সঙ্গে মিলে ‘মুইক’ ও ‘স্যান্ডি’-কে উপহার হিসেবে বাকিংহাম প্যালেসে পাঠিয়েছিলেন তিনি।
২০২১ সালে মুইককে পেয়েছিলেন রানি। ‘স্যান্ডি’ অবশ্য আরো আগে থেকেই ছিল রাজবাড়িতে। রানির ড্রেসার অ্যাঞ্জেলার কথায়, কোভিড মহামারির সময় কিছুদিন উইন্ডসর ক্যাসেলে ছিলেন রানি। ওই দিনগুলোতে এই দুই সারমেয়ের সঙ্গেই দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতেন তিনি। প্রায়ই তাঁকে ‘মুইক’ ও ‘স্যান্ডি’-কে আদর করতে দেখা যেত। প্রিয় পোষ্যদের স্বাস্থ্যের নিয়মিত খোঁজ রাখতেন রানি।
প্রসঙ্গত, এর আগে রানির পোষ্যদের মধ্যে একটি কুকুর মারা গিয়েছিল। সেই ঘটনার পরই রাজবাড়িতে আসে ‘স্যান্ডি’।
গত বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রানি। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বড় ছেলেকে রাজা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রানির বংশধরদের মধ্যে কে কোন খেতাব পাবেন, তারও ঘোষণা হয়ে গেছে। শুধু বাকি ছিল রানির পোষ্যদের ভাগাভাগি। এবার সেই কাজও সুচারুভাবেই সম্পন্ন করল রক্ষণশীল ব্রিটিশ রাজপরিবার।