মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চি শুক্রবার একটি সাদা টপ এবং একটি বাদামি মোড়ানো লুঙ্গি পরে আদালতে হাজির হন। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির বন্দিদের জন্য সাধারণ পোশাক। একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ৭৬ বছর বয়সী নোবেলজয়ী সু চিকে এ মাসে একটি আদালত করোনাভাইরাস বিধি লঙ্ঘন ও উসকানির অপরাধে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়। পরে তাঁর সাজা দুই বছর হ্রাস করা হয়।
সু চিকে প্রায়ই তাঁর চুলে ফুলের সঙ্গে মার্জিত ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরতে দেখা যেত। আজ তাঁকে দেখা গেল কারাপোশাকে। মনে করা হচ্ছে, তিনি তাঁর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বিস্তৃত পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সু চির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে শান্তি নেই। এতে ব্যাপক বিক্ষোভের জন্ম হয়। সুচির বিরুদ্ধে প্রায় ডজনখানেক মামলার মধ্যে এ রায়টি প্রথম। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সবগুলো মামলায় সাজা হলে তাঁকে ১০০ বছরেরও বেশি সময় কারাভোগ করতে হবে! যদিও, সু চি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র জানায়, বিচারাধীন একটি মামলায় রাজধানীর সাবেক মেয়র মিও অং নেপিইতাওকে শুক্রবার কারাপোশাকে আদালতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার সামরিক শাসক মিন অং হ্লাইং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলেন, সু চি এবং ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট তাদের বিচার চলাকালীন একই স্থানে থাকবেন। তাঁদের কারাগারে পাঠানো হবে না।
মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়কের কন্যা সু চি। তিনি সামরিক শাসনের বিরোধিতার জন্য কয়েক বছর গৃহবন্দি ছিলেন। ২০১০ সালে মুক্তি পান। ২০১৫ সালের নির্বাচনে তাঁর দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি বড় বিজয় অর্জন করে দেশটির ক্ষমতায় বসে।
উল্লেখ্য, তাঁর বিচারপ্রক্রিয়া মিডিয়া কভার করতে পারে না। সু চির আইনজীবীদের মিডিয়া ও জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বাধা দেওয়া হয়।