পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল অ্যান্ড মেইল জানিয়েছে, কানাডার ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
ট্রুডো ঠিক কবে পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন সেবিষয়ে কিছু জানা গেলেও ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার (৮ জানুয়ারির) দলের জাতীয় সম্মেলনের আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করতে পারেন তিনি। আরও জানা গেছে, জাস্টিন ট্রুডো এরই মধ্যে তার অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ককে অন্তর্বর্তীকালীন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।গ্লোবাল অ্যান্ড মেইল জানিয়েছে, এ বিষয়ে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও, কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের। নতুন নেতা বাছাইয়ের আগ পর্যন্ত জাস্টিন ট্রুডো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন কি না, সে বিষয়টিও এখনো পরিস্কার নয়।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল রোববার তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবারের মধ্যে লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্রগুলো গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে বলেছে, তারা নিশ্চিতভাবে জানে না যে ট্রুডো কখন তার পদত্যাগের পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। তবে তাদের ধারণা, বুধবার লেবার পার্টির জাতীয় সম্মেলনের আগেই দলের শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেবেন তিনি।
রয়টার্স বলছে, ট্রুডোর সম্ভাব্য এই পদত্যাগের ফলে দেশটির ক্ষমতাসীন এই দলটিকে এমন এক সময়ে স্থায়ী প্রধান ছাড়াই রাজনৈতিক মাঠে ছেড়ে দেবে যখন জরিপগুলোতেও দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে হতে যাওয়া নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে খারাপভাবে হেরে যাবে। অবশ্য ট্রুডো পদত্যাগ করলে নতুন সরকার গঠনের জন্য অক্টোবরের আগেই নির্বাচনের আহ্বান জানাতে পারে দেশটির রাজনৈতিক দলগুলো।
জাস্টন ট্রুডো ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন। সেসময় কানাডিয়ান এই দলটি গভীর সমস্যায় পড়েছিল ও প্রথমবারের মতো হাউজ অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল।