ঘরই হোক বা কাজের জায়গা, কর্মক্ষমতা বাড়াতে ছোট করে একপ্রস্ত ঘুমিয়ে নিতে পারলে অনেকেই খুশি; কথ্য ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ক্যাটন্যাপ’ কিংবা ‘পাওয়ার ন্যাপ’। এবার সেই চাওয়া পূর্ণ হতে চলেছে ভারতের বেঙ্গালুরুর এক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য।
গত বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর ওয়েকফিট সলিউশনস টুইটারে দুটি ছবি পোস্ট করে জানিয়েছে, তাদের কর্মীরা ‘ন্যাপ’ নিতে পারবেন। অফিসে কখন ঝটিতি ঘুমিয়ে নেওয়া যাবে, তা-ও উল্লেখ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
আর এই ঘুমের মেয়াদ হবে ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
টুইটারের ওই পোস্টের তথ্যানুসারে, ওয়েকফিট সলিউশনসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা চৈতন্য রামালিঙ্গগৌড় সম্প্রতি সহকর্মীদের ই-মেইলে বলেছেন, তাঁরা প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে চাইলে ঘুমিয়ে নিতে পারবেন।
ওয়েকফিট সলিউশনস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই আধাঘণ্টা দাপ্তরিকভাবে ঘুমের সময় হিসেবেই ধরা হবে। ই-মেইলে রামালিঙ্গগৌড় বলেন, ‘আমরা ছয় বছরের বেশি হলো ঘুম নিয়ে কাজ করলেও বিশ্রামের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিকের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ হয়েছি, তা হলো দুপরের ঘুম। ন্যাপকে আমরা সব সময়ই গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছি। তবে আজ থেকে আরেক ধাপ আগে বাড়ব আমরা। ’
চৈতন্য রামালিঙ্গগৌড় তাঁর ই-মেইলে আরো উল্লেখ করেন, নাসার এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২৬ মিনিটের ক্যাটন্যাপ কর্মীর পারফরম্যান্স ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে হার্ভার্ডের এক গবেষণায়ও পাওয়া গেছে, সংক্ষিপ্ত ঘুম ক্লান্তিতে ভেঙে পড়া ঠেকাতে সাহায্য করে। টুইটার পোস্টে আরো জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি এখন কর্মীদের নির্বিঘ্ন ঘুমে সহায়তা করতে ‘ন্যাপ পড’ ও নিরিবিলি কক্ষ তৈরির কাজ করছে।