বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মহামারি থেকে শিক্ষা না নিলে বিশ্বকে করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর আরেকটি মহামারির দিকে নিয়ে যেতে পারে চীন। কারণ বেইজিংয়ের ধামাচাপার দেওয়ার জন্য করোনার মূল উৎসের সন্ধান এখনও অজানা।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, চীনে স্যাঁতসেঁতে বাজারের চলমান প্রসার, সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ ল্যাব গবেষণা এবং স্বচ্ছতার অভাবের কারণে আরেকটি মহামারি ছড়াতে পারে।
মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিল্যান্ডের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের একজন সিনিয়র রিসার্চ ফেলো বায়োকেমিস্ট মিল্টন লিটেনবার্গ বলেছেন, ‘তিনি আশঙ্কা করছেন যে চীন আরেকটি মহামারি সৃষ্টি করতে পারে। কারণ চলমান মহামারি সম্পর্কে চীন বিশ্বের কাছে সততার পরিচয় দেয়নি।’
অন্যদিকে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টিকে মহামারি থেকে শিক্ষা নিতে এবং পরিচ্ছন্ন হতেচাপ দিলেও বেইজিং বরাবরই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চীনা গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভাইরাসটি অন্য কোথাও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে তারা মার্কিন বায়োঅস্ত্র গবেষণাগারের দিকে আঙুল তুলেছে। তবে কথিত আছে, চীনা বিজ্ঞানীরা ২০১৫ সালে করোনা ভাইরাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করছিলেন।
বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, করোনা ভাইরাস উহানের একটি বায়ো-ল্যাবরেটরি থেকে ছড়িয়েছে, তারা আশঙ্কা করছেন, চীনের ল্যাব থেকে আরেকটি ভাইরাসও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অভিযোগ করা হয়, কিছু বিজ্ঞানী চীনের ল্যাবগুলিতে বিতর্কিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ‘আউটসোর্সিং’ করে নিয়ন্ত্রণ বা নৈতিক বিবেচনাকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ গবেষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন কেউ কেউ।
হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্মান বিজ্ঞানী ড. রোল্যান্ড উইসডেঞ্জার বলেছেন, চীনের ভেজা স্যাঁতসেঁতে বাজারগুলো মহামারি সৃষ্টিতে বড় হুমকি হয়ে আছে।