করোনার নতুন ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ব্রাজিল। দেশটির বেশির ভাগ হাসপাতালগুলো অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকছে। দেশটির বেশিরভাগ হাসপাতালের আইসিইউতে বেড খালি নেই। পাশাপাশি নেই অক্সিজেনের জোগান।
‘প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন’ জানিয়েছে, ব্রাজিলের অবস্থা ‘শোচনীয়’। গতকালই দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ২৫১। মার্চের এই পরিস্থিতি এপ্রিলেও বদলাবে না বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
কোভিড-১৯ আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট সংক্রমিত ৩ লক্ষ ছুঁয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, করোনার অতিসংক্রামক ‘ব্রাজিল স্ট্রেন’ এই অবস্থার জন্য দায়ী। আমাজন অঞ্চলে প্রথম ধরা পড়া ওই স্ট্রেন এখন ছড়িয়ে পড়েছে বহু দেশে।
এরপরেও দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর করোনাভাইরাসকে পাত্তা দিচ্ছেন না। দেশের মানুষকে প্রতিষেধক দেওয়া থেকে শুরু করে পারস্পরিক দূরত্ব বিধি মানার বিষয়ে সতর্কতা বা ব্যবসা-বাণিজ্য স্থগিত রাখা—সব বিষয়েই প্রবল অনীহা দেখিয়ে এসেছেন তিনি।
একটি রিপোর্টে প্রকাশিত, ব্রাজিলের ২৬টি প্রদেশ ও ফেডারেল ডিসট্রিক্ট মিলিয়ে মোট ১৮টি হাসপাতালের ৯০ শতাংশ শয্যা ভর্তি। বেশ কিছু প্রদেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। চলতি বছরের শেষে গিয়েও দেশের সব মানুষের টিকাকরণ হবে কি না সংশয় রয়েছে।