মিশরের পর্যটন নগরী শার্ম আল-শেখে এবার হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন কপ২৭। অবশেষে এই সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় তহবিল গঠনে একমত হয়েছেন নীতি-নির্ধারকরা। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে এই ক্ষতিপূরণ তহবিল চাওয়া হলেও ধনী দেশগুলো এতোদিন কর্ণপাত করেনি।
জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন প্রায় দুশোটির মতো দেশের শীর্ষ নেতা ও প্রতিনিধি। রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে কপ২৭ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপর্যয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করার তহবিল গঠনে একমত হয়েছেন তারা। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার বৈশ্বিক সংকল্পের রূপরেখার একটি বৃহত্তর চুক্তিকে সমর্থন করা থেকে বিরত থেকেছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাতভর উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনার পর, মিশরের কপ২৭ সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট খসড়া চুক্তির একটি রুপরেখা প্রকাশ করেন। এটিকে চূড়ান্ত চুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনেরও আহ্বান জানান তিনি।
এ অধিবেশনে উপস্থিত সংশ্লিষ্টরা ঝড় ও বন্যার মতো জলবায়ুবিষয়ক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে তাত্ক্ষণিকভাবে খরচ বহন করতে সহায়তার জন্য একটি ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ তহবিল গঠনে সম্মতি দেন।
কিন্তু এর পরপরই, সুইজারল্যান্ড নতুন খসড়া উপস্থাপনে সময় দেওয়ার জন্য ৩০ মিনিট স্থগিতাদেশের আহ্বান জানায়।
সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে পাকিস্তান, নাইজেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বন্যার কারণে যে সহায়তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তার জেরেই এবার বিষয়টি জলবায়ু সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ এর বিষয়টি শেষ পর্যন্ত কপ২৭ আলোচনার টেবিলে ঠাঁই পেলো এবং সংশ্লিষ্টরা সহায়তা তহবিল গঠনে একমত হলেন।