তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগনের প্রতি চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ মারিউপোল থেক ইউক্রেনীয় সেনাদের উদ্ধারে সহায়তা না করার আহ্বান জানিয়েছেন। টেলিগ্রাম পোস্টে এক বার্তায় পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই সহযোগী এই আহ্বান জানান।
চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ এরদোগানকে উদ্দেশ্য করে ইউক্রেনীয় অপরাধীদের দ্বারা বোকা না হওয়ার আহ্বান জানান। রমজান কাদিরভের দাবি— মারিউপোলের আজভস্তালে অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় সেনারা বিচারের মুখোমুখি হবে ভয়ে তৃতীয় কোনো দেশে স্থানান্তরে তুরস্কের সহযোগিতা চাচ্ছে। তারা উপযুক্ত শাস্তি পাওয়ার মতো অপরাধী বলেও মন্তব্য রমজান কাদিরভের।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের বন্দরনগরী মারিউপোলের আজভস্তাল ইস্পাত কারখানায় কয়েক সপ্তাহ ধরে অবরুদ্ধ আছেন ইউক্রেনীয় ‘আজভ রেজিমেন্ট’এর কয়েকটি ইউনিট। ইউক্রেনসহ জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আটকে পড়া সেনাদের উদ্ধারে মানবিক করিডর খোলার জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি তুরস্ক কৃষ্ণসাগর দিয়ে মারিউপোলে অবরুদ্ধ ইউক্রেনীয় সেনাদের উদ্ধারের প্রস্তাব দিয়েছে।
ইউক্রেনের আজভ রেজিমেন্ট সম্পর্কে চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ বলেন, তারা ‘হত্যাকারী এবং নাস্তিক’। এরদোগানের কাছে তারা রাশিয়ার আগ্রাসনের ‘নিষ্পাপ ভুক্তভোগী’ প্রমাণের চেষ্টা করছে বলেও দাবি করেন রমজান কাদিরভ।
রমজান কাদিরভ চেচনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট আখমাদ কাদিরভের ছেলে। ২০০৪ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন আখমাদ। এর তিন বছর পর প্রেসিডেন্ট হন রমজান।
আখমাদ ও রমজান দুজনই প্রথম চেচেন যুদ্ধে (১৯৯৪–১৯৯৬ সাল) রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় চেচেন যুদ্ধে (১৯৯৯–২০০০ সাল) রাশিয়াকে সমর্থন জানান বাবা–ছেলে। যুদ্ধে জয় পায় মস্কো। চেচনিয়া পরিণত হয় রাশিয়ার একটি অঞ্চলে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রমজান কাদিরভের রাজনৈতিক বোঝাপড়া রয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুতিনের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন রমজান। বিপরীতে মস্কো থেকে বড় আর্থিক সুবিধা পেয়েছে চেচনিয়া প্রজাতন্ত্র।