English

21 C
Dhaka
বুধবার, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
- Advertisement -

এবার সস্ত্রীক ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

- Advertisements -

সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার পরদিনই আরও বড় দুঃসংবাদ পেলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার তোশাখানা মামলায় তাকে এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের একটি আদালত।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন, তথা সাইফার মামলায় ইমরান খান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। তার মাত্র সপ্তাহখানেক আগে ইমরানের বিরুদ্ধে এসব রায় দিলেন পাকিস্তানি আদালত। ব্যাপক চাপের মধ্যেও নির্বাচনী প্রতীক ছাড়াই এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

যে অপরাধে সাজা
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় তোশাখানা পরিচালনা করে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অন্যান্য দেশের সরকার ও রাজ্যের প্রধান, সংসদ সদস্য, আমলা, কর্মকর্তাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া মূল্যবান উপহার তোশাখানায় সংরক্ষণ করা হয়। নিয়ম অনুসারে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাওয়া উপহার বা এ জাতীয় অন্যান্য উপকরণগুলোর বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে রিপোর্ট করা বাধ্যতামূলক।

অভিযোগ উঠেছে, পিটিআই সরকারে থাকাকালে ইমরান খানের পাওয়া উপহারের যথাযথ বিবরণ প্রকাশ করেনি। এমনকি এ বিষয়ে পাকিস্তান তথ্য কমিশনের (পিআইসি) নির্দেশও উপেক্ষা করেছিল তারা।

পরে, ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ইসিপি’তে জমা দেওয়া লিখিত জবাবে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার পাওয়া কমপক্ষে চারটি উপহার বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)।

এ নিয়ে ব্যাপক নাটকীয়তার পরে দায়রা আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের রায়ে স্থগিতাদেশ দেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)।

কিন্তু সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে পাওয়া একটি গহনা সেট তোশাখানায় জমা না দেওয়ার অভিযোগে ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে গত মাসে নতুন একটি রেফারেন্স দায়ের করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)।

বুধবার জবাবদিহি আদালতের বিচারক মোহাম্মদ বশির রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে মামলাটির শুনানি পরিচালনা করেন। ওই কারাগারেই বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

মামলার রায়ে ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে ১০ বছরের জন্য যেকোনো সরকারি পদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে, তাদের প্রত্যেককে ৭৮ কোটি ৭০ লাখ পাকিস্তানি রুপি জরিমানা করা হয়।

এদিন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না বুশরা বিবি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন