চন্দ্রযান, মঙ্গলযানের পর এবার সমুদ্রযান। মহাকাশের পর এবার অতল সমুদ্র। প্রকৃতির রহস্য ভেদ করতে নতুন অভিযান হাতে নিল ভারত। এবারের লক্ষ্য হলো- সমুদ্রের ছয় হাজার মিটার গভীরে মানুষ পাঠানো।
কিছুটা সাবমেরিনের মতো একটি যানে করে অভিযান চালানো হবে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, জাপান, ফ্রান্স ও চীন এ ধরনের গভীর সমুদ্রাভিযান করেছে। সফল হলে ভারতও ঢুকে পড়বে সেই তালিকায়।
বিজ্ঞানীদের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, তিন জন মানুষ নিয়ে সমুদ্রের গভীরে যাবে যানটি। যানটিতে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সেন্সর ও যন্ত্রপাতি। এছাড়া থাকবে সমুদ্রতলে খননকার্য চালানোর ব্যবস্থাও।
সমুদ্রের গভীরে পানির চাপ বেশি। সেই চাপ সামলানোও বড় চ্যালেঞ্জ প্রযুক্তিবিদদের কাছে। ১২ ঘণ্টা পানির তলায় থাকতে পারবে যানটি। তবে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত পানির নীচে থাকতে পারবে এটি।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ইসরো, আইআইটি মাদ্রাজ এবং ডিআরডিও-র বিজ্ঞানীরা হাত মিলিয়ে তৈরি করেছেন মৎসয় ৬০০০-এর নকশা। ২০২০-২১ থেকে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে এ ধরনের গভীর সমুদ্রাভিযান চালানোর জন্য মোট চার হাজার ৭৭ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২৪ সাল পর্যন্ত গবেষণার প্রথম ধাপের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৮২৩.৪ কোটি রুপি।