যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পর ফের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়লেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ৩৫ ও ৩৬ বছর বয়সী কাতেরিনা তিখোনোভা ও মারিয়া ভরোন্তসোভা। ইউক্রেন আগ্রাসনের কারণে এবার কানাডা ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়েসহ ঘনিষ্ঠ ১৪ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে জাস্ট্রিন ট্রুডোর সরকার।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানিয়া জোলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে আমরা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখবো। রাশিয়ার কার্যকলাপের হিসাব দিতে হবে এবং তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনারও কথা বলেন তিনি।
এর আগে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর যুক্তরাজ্যও অবরোধ আরোপ করে তাদের ওপর।
রয়টার্স জানিয়েছে মারিয়া পুতিন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রোগ্রামগুলোর নেতৃত্ব দেন। অন্যদিকে, আরেক কন্যা মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পাবলিক ফান্ডের প্রোজেক্টে কাজ করেন।
দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা রুশ প্রেসিডেন্ট সাধারণত পরিবার নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করতে অভ্যস্ত নন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে পরিবারের বিষয়টি সব সময় এড়িয়ে যান পুতিন।
২০১৫ সালে এক সংবাদ সম্মেলনে পুতিনের কাছে তার মেয়েদের নাম-পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে পুতিন বলেন, তার দুই মেয়ে রাশিয়ায় বসবাস করেন। তাদের পড়াশোনাও রাশিয়ায়। দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি গর্ববোধ করেন।
কানাডা রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের স্ত্রীর ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সম্প্রতি আবারও ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার হামলা বেড়ে যাওয়ায় কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলো। রাশিয়ার হামলা অব্যাহত থাকলে আরও কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা।