ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী একটি ছোট্ট গ্রাম। যে গ্রামের বাসিন্দা মাত্র ৩৫ জন এবং তারা সবাই আবার একই পরিবারের সদস্য। আর সেই ৩৫ জনের জন্য আলাদা একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবে নির্বাচন কমিশন।
ভারতের পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন চলছে। গত ৭ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে ছত্তিশগড় ও মিজোরামে। আর রাজস্থানে ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ নভেম্বর।
এই ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে ভারতের নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন এলাকায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের কাজ করে যাচ্ছে। এমনই একটি কেন্দ্র বারমার জেলার গ্রাম বারমার কা পার।
জাতীয় কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের সময় এলে এই গ্রামের বাসিন্দাদের ব্যাপক হ্যাপা পোহাতে হয়। কারণ গ্রামের জনসংখ্যা কম হওয়ায় এখানে কোনো ভোটকেন্দ্র নেই। কিন্তু ভোট দিতে চাইলে সেই যেতে হবে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূরের ভোটকেন্দ্রে।
কিন্তু যোগাযোগব্যবস্থা সহজ না হওয়ায় গ্রামটির বাসিন্দাদের হয় পায়ে হেঁটে আর না হয় উটে চড়ে যেতে হয় সেই ভোটকেন্দ্রে, যা পুরুষদের জন্য কিছুটা সহজ হলেও নারী ও বয়স্কদের জন্য খুবই কষ্টকর।
তবে চলতি বছর ভারতের নির্বাচন কমিশন উদ্যোগ নিয়েছে গ্রামটির বাসিন্দাদের আর ২০ কিলোমিটার দূরে যেতে হবে না ভোট দিতে। ওই গ্রামেই স্থাপন করা হবে একটি ভোটকেন্দ্র। এই খবর শুনে গ্রামবাসী বেশ খুশি হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গ্রামটির ৩৫ বাসিন্দার মধ্যে সবাই ভোটার এবং তাদের ১৭ জন নারী ও ১৮ জন পুরুষ।
এর আগে ২০১৮ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসনের মধ্যে ৯৯ আসন পেয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। দলটির জ্যেষ্ঠ নেতা অশোক গেহলট বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক ও স্বতন্ত্র বিধায়কদের সহায়তা নিয়ে সরকারপ্রধান হন।
বিরোধী দল বিজেপি পায় ৭৩ আসন। এই রাজ্যটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ নভেম্বর এবং ভোট গণনা হবে ৫ ডিসেম্বর। ওই দিন বাকি চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলও প্রকাশ করা হবে।