এই মুহূর্তে জ্বালানি আমদানি করার মতো কোনো অর্থ শ্রীলঙ্কার হাতে নেই। একেবারেই ভেঙে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। এমনকি এক জাহাজ পেট্রল আমদানির সামর্থ্যও নেই দ্বীপ রাষ্ট্রটির বলে জানিয়েছেন দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা। তিনি শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের পেট্রলের জন্য লাইনে দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
গতকাল বুধবার সংসদে তিনি এমনটাই জানিয়েছেন। কাঞ্চনা বলেন, আমাদের জলসীমায় একটি পেট্রল জাহাজ রয়েছে। তবে আমাদের হাতে আর কোনো বৈদেশিক মুদ্রা নেই। শ্রীলঙ্কা আশা করছে দু-একদিনের মধ্যে জাহাজটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে পেট্রলের আগের চালানের জন্য একই সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পাঁচ কোটি ডলারেরও বেশি পাবে।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার দুই কোটির বেশি জনসংখ্যা জরুরি অবস্থার মধ্যে আছে। বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করলে রনিল বিক্রমাসিংহে তার স্থলাভিষিক্ত হন। সহিংসতায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন নিহত, আহত হয়েছেন তিন শতাধিক। দেশজুড়ে চলছে কারফিউ।
এসব সংকটের কারণ হিসেবে ব্রিটিশ চ্যানেল স্কাইনিউজ বলছে, সরকারের হঠকারী নীতি ও পদক্ষেপে বিক্ষোভের আগেই শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা শুরু হয়েছে। ঋণে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পূর্ণ আমদানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতিতে তা আমদানি অসম্ভব।