ব্রাজিলের মিনাস গেরাইসে ৪০ কোটি রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৬ কোটি টাকা) একটি গরু বিক্রি হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি গরু হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে স্থান করে নিয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত গরুটি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
গরুটির নাম ‘ভিয়াটিনা-১৯’। ৫৩ মাস বয়সি এই গরুটির ওজন প্রায় ১ হাজার ১০১ কেজি; যা নেলোর জাতের অন্যান্য গরুর গড় ওজনের দ্বিগুণ। ‘ভিয়াটিনা-১৯’- তার সুন্দর সাদা পশম, আলগা ত্বক এবং কাঁধে একটি লক্ষণীয় কুঁজ থাকার জন্য অনান্য গরুর চেয়ে আলাদা।
বিশ্ব রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি টেক্সাসের ফোর্ট ওর্থে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় ‘ভিয়াটিনা-১৯’ মিস সাউথ আমেরিকা জিতেছে। প্রসঙ্গত, এটি একটি মিস ইউনিভার্স-ধাঁচের গরু প্রতিযোগিতা যেখানে বিভিন্ন দেশের ষাঁড় এবং গরু একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করে। ‘ভিয়াটিনা-১৯’ এই প্রতিযোগিতার তার পেশির ব্যতিক্রমী গঠন এবং বিরল জেনেটিক বংশ হওয়ায় জয়ী হয়েছেন।
নেলোর জাতের গরু গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। এই কারণে, প্রজনন কর্মসূচির জন্য বিশ্বব্যাপী ভিয়াটিনা-১৯ এর ভ্রূণের চাহিদা বেশি।
পশুচিকিৎসক লরানি মার্টিন্স বলেন, ‘ভিয়াটিনা-১৯’ এখন পর্যন্ত অর্জিত পরিপূর্ণতার সবচেয়ে কাছাকাছি। এটি একটি সম্পূর্ণ গরু। মালিকরা একটি সম্পূর্ণ গরুর যা যা বৈশিষ্ট্য খোঁজে তার সবই এতে আছে।
ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুসারে, ব্রাজিল এখন বিশ্বের বৃহত্তম নেলোর গরুর প্রজননকারী দেশ এবং এই জাতটি আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, মধ্য আমেরিকা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য অনেক দেশে রপ্তানি করা হয়েছে।
ভিয়াটিনা-১৯ নেলোর জাতের অন্তর্গত, যা ওঙ্গোল জাত নামেও পরিচিত, প্রথম ১৮০০ সালে ব্রাজিলে আনা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এই পেশীবহুল জাতটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের প্রকাশম জেলা থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং খ্রিস্টীয় যুগের প্রায় ২০০০ বছর আগে আর্যরা প্রথম এটি প্রবর্তন করেছিল।
ব্রাজিলের বেশিরভাগ গবাদি পশু নেলোর জাতের। এগুলো মাংসের জন্য পালন করা হয়। মার্কিন কৃষি বিভাগের মতে, ব্রাজিলে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন গরু রয়েছে।