সেখানে লড়াই থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিরোধিতায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হলেও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না। তার এমন মন্তব্যের পরই গাজা এবং পশ্চিমতীরে নতুন করে হামলা বেড়ে গেছে। এদিকে হোয়াইট হাউজ বলছে, দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল স্পষ্টভাবেই ভিন্ন চিন্তা করছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর পাল্টা জবাব হিসেবে গাজায় আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে এখন পর্যন্ত গাজার বিভিন্ন স্থানে অভিযানের নামে হামলা চালিয়ে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। সেখানে প্রতিদিনই বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালানো হচ্ছে। গাজায় এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল। বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। এই যুদ্ধে ইসরায়েলের নিয়মিত সেনা ছাড়াও রিজার্ভ সেনারা অংশ নিয়েছে। বাদ পড়েনি নারীরাও। সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি নারীরা বড় ভূমিকা পালন করছে।
ইসরায়েলের একটি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধ করার জন্য নারীদের আমরা নিয়ে আসতে পেরেছি, যা অত্যন্ত গর্বের। তিনি বলেছেন, নারীরা পুরুষ সেনাদের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
এই যুদ্ধের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়েও। হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটছে লেবানন সীমান্তে। হামলা হচ্ছে সিরিয়া ও ইরাকেও। তাছাড়া ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী জাহাজ লক্ষ্য হামলা চালানো হচ্ছে। মার্কিন পদক্ষেপেও বন্ধ হচ্ছে না হুথিদের হামলা।