ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই) এক ধর্মীয় উৎসব চলাকালীন পদপিষ্ট হয়ে অন্তত ১২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন নারী এবং নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বঘোষিত গুরু বাবা নারায়ণ হরির সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর তাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এনডিটিভি বলছে, বাবা নারায়ণের প্রকৃত নাম হচ্ছে সুরাজ পাল, তিনি সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা নামে ভক্তদের কাছে বেশি পরিচিত। ডেপুটি পুলিশ সুপার সুনীল কুমার বলেছেন, মেইনপুরীর রাম কুঠির চ্যারিটেবলে ট্রাস্টে অভিযান চালিয়েছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। কিন্তু ভোলে বাবাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুনীল কুমার বলেছেন, ক্যাম্পাসের ভেতরে আমরা ভোলে বাবাকে খুঁজে পাইনি। তিনি সেখানে নেই।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশ ভোলে বাবাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে, তবে কালকের ঘটনার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
উত্তর প্রদেশের ইটা জেলার পাতিয়ালি তহসিলের বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা ভোলে বাবা। তার দাবি, তিনি একসময় ভারতের গোয়েন্দা বিভাগে (আইবি) চাকরি করতেন। ভোলে বাবার দাবি, ধর্ম পালনের জন্য ২৬ বছর আগে চাকরি ছেড়ে দেন। বর্তমানে ভারতজুড়ে তার লাখ লাখ অনুসারী।
এনডিটিভি বলছে, ভোলে বাবা বাহাদুর নাগরি গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা নান্নে লাল, মা কাতোরি দেবী। তারা দুই ভাই হলেও এক ভাই মারা গেছেন। গ্রামে পড়াশোনা করেছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশে পুলিশে যোগদান করেছিলেন সুরাজ। তিনি পুলিশে হেড কনস্টেবল পদে ছিলেন। সেখানেই স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিটে ১৮ বছর ধরে কাজ করেছেন।
বর্তমানে ভোলে বাবার ভারতজুড়ে লাখ লাখ অনুসারী। আধুনিক ধর্মগুরুর মতো ভোলে বাবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার অফিশিয়াল কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। ভক্তদের দাবি, তৃণমূল পর্যায়ে ভোলে বাবার প্রভাব অনেক বেশি।
ভোলে বাবা প্রথমবারের মতো সবচেয়ে বেশি নজরে আসেন করোনাকালে। সেইসময় তিনি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বড় বড় জমায়েতের আয়োজন করেছিলেন।