কোরীয় যুদ্ধের অবসান ঘটানো অস্ত্রবিরতির বার্ষিকী উপলক্ষে দেওয়া বক্তৃতায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, তার দেশ পরমাণু অস্ত্র সক্রিয় করতে প্রস্তুত।
নিভৃতকামী কট্টর কমিউনিস্ট দেশটির শীর্ষ নেতা বলেন, মার্কিন হুমকি মোকাবেলার জন্য পিয়ংইয়ংকে তার প্রতিরক্ষা গড়ে তুলতে হবে।
২৭ জুলাই অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে গত শতকের পঞ্চাশের দশকের কোরীয় যুদ্ধের অবসান ঘটেছিল। অর্থাৎ যুদ্ধটি আনুষ্ঠানিক ও স্থায়ীভাবে শেষ হয়নি।
উত্তর কোরিয়া দিনটিকে নিজেদের ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া অনুসারে, কিম জং উন তার ভাষণে বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো সংকটে সাড়া দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আমাদের দেশের পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধ সক্ষমতাও নির্ভরযোগ্য এবং নির্ভুলভাবে ও তৎক্ষণাৎ এর নিরঙ্কুশ শক্তিকে একত্র করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। ’
সিউল ও ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সালের পর প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
কিম আরো বলেন, ওয়াশিংটন কোরীয় যুদ্ধের প্রায় ৭০ বছর পরেও তার দেশের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মিলে ‘বিপজ্জনক, অবৈধ শত্রুতামূলক কাজ’ চালিয়ে যাচ্ছে।
সিউলের ইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লিফ-এরিক ইজলি বলেছেন, কিমের বিজয় দিবসের ভাষণটিকে অস্ত্রবিরতির পর থেকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সাফল্যের প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরীয়দের জাতীয় গর্ব জোরদার করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যেতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুধবার বলেছেন, উত্তর কোরিয়া পরমাণু পরীক্ষাটি সত্যিই চালালে দেশটি সাইবার আক্রমণের ক্ষমতা রোধ করাসহ আরো শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে পারে।