ইমরান খান, পাকিস্তানের ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য এক নাম। ১৯৯২ সালে দেশটির ইতিহাসে একমাত্র বিশ্বকাপ এসেছিল তারই হাত ধরে। ইমরান খানের অধিনায়কত্বের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটে অনেকেই অধিনায়ক হয়েছেন। তবে তাদের কেউই বিশ্বক্রিকেটে পাকিস্তানের সেই দাপট এনে দিতে পারেননি।
ক্রিকেটের এই ইমেজকেই কাজে লাগিয়ে ইমরান খান পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিলেন। নিজের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফকে নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে বড় ধরনের জোয়ারের তৈরি করেছিলেন।
কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার দেশটিতে পূর্বের প্রধানমন্ত্রীদের মতোই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে ইমরান খানকে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। আগস্ট মাস থেকে ইমরান খান কারাগারে বন্দী।
গতকাল ভারত-পাকিস্তানের বিগ ম্যাচের সামনে দেখা গেল আরেকবার। ইমরান খান স্বশরীরে ছিলেন না মাঠে। তবে ম্যাচ শুরুর ঠিক আগে ইমরান খানের মুক্তি চেয়ে বার্তা প্রদান করা হয়েছে। নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের ওপর একটি উড়োজাহাজের পেছনে ইমরান খানের মুক্তি চেয়ে ব্যানার উড়ানো হয়। তাতে লেখা হয়েছিল, ‘ইমরান খানকে মুক্তি দাও।’
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, মাঠে কোনোপ্রকার রাজনৈতিক বার্তা নিয়ে হাজির হওয়া যাবে না। তবে খেলা চলাকালে আকাশে এমন নিয়ম প্রযোজ্য না। যে কারণে ইমরান খানের মুক্তির বার্তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন বা শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে না পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডকে। অবশ্য কে বা কারা নিজ উদ্যোগে ইমরান খানের মুক্তি চেয়ে এমন বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছেন, বিদেশি গণমাধ্যমগুলোতে তা নিয়ে চলছে আলোচনা।
গতকালের হাইভোল্টেজ ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারতই। লো-স্কোরিং ম্যাচে পাকিস্তানকে ১২০ রানের টার্গেট দেয় ভারত। কিন্তু জাসপ্রীত বুমরাহ-হার্দিক পান্ডিয়াদের তোপে সেই ম্যাচেও পাকিস্তান হারে ৬ রানের ব্যবধানে।