মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ইসরায়েলে তেল ও খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এমনকি, ইসরায়েলকে বয়কট করার কথাও বলেছেন তিনি। বুধবার (১ নভেম্বর) একদল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাজা উপত্যকায় ‘বর্বর’ বোমাবর্ষণের প্রতিক্রিয়ায় এসব আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎকারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, গাজায় অবিলম্বে ইসরায়েলের বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে। সেখানে হামাসের সঙ্গে ইসরয়েলের যুদ্ধ নয় বরং সত্যের সঙ্গে খোদাদ্রোহী শক্তির যুদ্ধ চলছে। মুসলিম দেশগুলোর ইহুদিবাদী শাসকদের অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করা উচিত নয়। তাদের কাছে তেল ও খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের জন্য পশ্চিমারাই দায়ী। তারা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ইতালিতে অসংখ্য মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন। তারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। সুতরাং পশ্চিমারা এখন ইসরায়েলি হামলার পক্ষে কোনো ধরনের সাফাই গাইতে পারবে না।
গত ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার শপথ নিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে, ইসরায়েলের এ হামলায় এখন পর্যন্ত আট হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩ হাজার ৫৪২ শিশু ও ২ হাজার ১৮৭ জন নারী।
এমন পরিস্থিতিতে ইরান ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেছে, নেতানিয়াহু প্রশাসন যদি গাজায় আগ্রাসন বন্ধ না করে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে তেহরান-সমর্থিত যেসব প্রক্সি সেনাবাহিনী রয়েছে, তারাও যুদ্ধে অংশ নেবে।
এদিকে, গাজায় নির্বিচারে হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়া। তাছাড়া কনসাল্টেশনের জন্য লাতিন আমেরিকার আরও দুটি দেশ তেল আবিব থেকে তাদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
বলিভিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়া ও চিলি গাজার বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে লাতিন আমেরিকার বামপন্থি দেশগুলো ফিলিস্তিনের পক্ষে।