গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি পাশবিকতা বন্ধ করার লক্ষ্যে তেল আবিবের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করাসহ সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিশ্বের স্বাধীনচেতা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট রাইসি।
গত ৪৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হাজার হাজার মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করার জন্য ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট। তিনি এই অপরাধযজ্ঞে প্রকাশ্য সমর্থন দেওয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোরও কঠোর সমালোচনা করে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো মানবাধিকার ও নৈতিকতার ব্যাপারে যে দ্বৈত নীতি গ্রহণ করেছে গাজা যুদ্ধ তার প্রমাণ।
ইব্রাহিম রাইসি বলেন, বিশ্বের স্বাধীনচেতা দেশগুলো বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো যদি ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে তাহলে গাজাবাসী নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যায় লাগাম টানা সম্ভব হবে। তিনি ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অকুতোভয় লড়াই করার জন্য ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, মধ্যরাতের ওই বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, ওই শরণার্থী শিবিরে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে। গাজার মধ্যাঞ্চলে ওই শরণার্থী শিবিরটি অবস্থিত।
এদিকে জাবালিয়ার একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও কয়েকজন আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মুসলিম রাষ্ট্রগুলো বেশিরভাগই মুনাফিক একমাত্র ইরান ছাড়া। মুনাফিকরা কিন্তু মুসলিমদের মধ্যে থাকে অন্য ধর্মের মধ্যে নয়।