English

30 C
Dhaka
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
- Advertisement -

ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফাতিমা হাসোনা: কানে তার সিনেমা দেখানো হবে, তবে তিনি দেখবেন না!

- Advertisements -

উত্তর গাজায় নিজের বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পরিবারের দশ সদস্যসহ নিহত হন ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক ফাতিমা হাসোনা। তবে হাসোনার জীবনের পথ থামিয়ে দিলেও এখনও তার পথ চলা থামানো যায়নি। আগামী মাসে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে তার একটি তথ্যচিত্র।

কানে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য নির্বাচিত একটি তথ্যচিত্রে অভিনয় করেছেন ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক ফাতিমা হাসোনা। গাজার ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের স্নাতক, ফাতিমা কেবল একজন আলোকচিত্রী ছিলেন না, তিনি এমন একটি বাস্তবতার একজন চাক্ষুষ সাক্ষী ছিলেন যা দিন দিন আরও কঠোর হয়ে উঠছে। নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে, তিনি তার বারান্দা থেকে সূর্যাস্তের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন, লিখেছিলেন, এটি অনেক দিনের মধ্যে প্রথম সূর্যাস্ত।

আগের একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন, অনিবার্য মৃত্যুর কথা বলতে গেলে, যদি আমি মারা যাই, আমি একটি উচ্চস্বরে মৃত্যু চাই, আমি চাই না যে আমি কোনও ব্রেকিং নিউজ স্টোরিতে থাকি অথবা কোনও দলের সাথে কোনও সংখ্যায় থাকি। আমি এমন একটি মৃত্যু চাই যা বিশ্ব শুনতে পায়। এমন একটি চিহ্ন যা চিরকাল স্থায়ী হয়, অমর চিত্র যা সময় বা স্থান কেউই কবর দিতে পারবে না।

‘পুট ইয়োর সোল অন ইয়োর হ্যান্ড অ্যান্ড ওয়াক’ বা ‌‘আপনার আত্মাকে নিজের হাতে রাখুন এবং হাঁটুন’ এর ফিলিস্তিনি নায়িকা ছিলেন ফাতমা হাসোনা। ২৫ বছর বয়সী হাসোনা সম্পর্কে কানের সংশ্লিষ্ট দলটি বলেছে, তার হাসি তার দৃঢ়তার মতোই জাদুকরী ছিল। সাক্ষ্য দেওয়া, গাজার ছবি তোলা, বোমা, শোক এবং ক্ষুধা সত্ত্বেও খাবার বিতরণ করতে তিনি। আমরা তার গল্প শুনেছি, তাকে জীবিত দেখার জন্য তার প্রতিটি উপস্থিতিতে আনন্দিত হয়েছি, আমরা তার জন্য ভীত।

‘পুট ইয়োর সোল অন ইয়োর হ্যান্ড অ্যান্ড ওয়াক’ সিনেমায় কাজ করেছিলেন তিনি। সেটা কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানোর জন্য নির্বাচিত হয়। সে খবরটা পেয়েছিলেন মাত্রই। ফাতমাকে কীভাবে কান উৎসবে নিয়ে যাওয়া যায়, সে তদবির করছিলেন ফারসি। সেখান থেকে কীভাবে গাজায় ফেরত আসবেন, তা নিয়ে ভাবনায় ছিলেন ফাতমা।

এই সিনেমাটি মূলত একটি ১১০ মিনিটের ডকুমেন্টারি। এটি ইসরায়েলের গাজা হামলা শুরুর পর প্রায় এক বছরের মতো সময় ধরে ফারসি এবং হাসোনার মধ্যে চলা কথোপকথনকে তুলে ধরে।

এসিআইডির ওয়েবসাইটে ফিল্মের বিবরণে পরিচালক ফারসি বলেন, ‘এই ফিল্ম এক জানালা, যা খুলেছে ফাতমার সঙ্গে এক অলৌকিক সাক্ষাতে। এটি চলমান গণহত্যার দৃশ্য আমাদের সামনে তুলে ধরে।’ ফারসি আরও বলেন, ‘সে গাজায় আমার চোখ, আর আমি বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগ।’ ফারসি এখন ভাবছেন, এই সিনেমায় কাজ করার জন্যই কি হাসোনাকে টার্গেট করা হয়েছিল কি না।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর কমিশনার জেনারেল ফিলিপে লাজারিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা বীরত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে, কিন্তু এর জন্য তাদের ভয়ংকর মূল্য দিতে হচ্ছে; এখন পর্যন্ত ১৭০ জন নিহত হয়েছেন।’ জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় মোট ২০৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যাঁরা কেউ ডিউটিতে, কেউ বা বাড়িতে ছিলেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন