অবরুদ্ধ গাজার জাবালিয়াতে ইসরাইলের রকেটের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত কিশোরী রাহাফ সালমান উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার তুরস্কে পৌঁছেছে।
গত ৬ আগস্ট রাতের খাবার একসাথে খাওয়ার জন্য ভাইকে ডেকে আনতে গিয়ে হামলার শিকার হয় রাহাফ আর তার ভাই মোহাম্মদ সালমান।
রাহাফের সারা শরীর স্প্লিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়! হাসপাতালে নেয়ার পর তার দুই পা ও ডান হাত কেটে ফেলতে হয়। পেটেও আঘাত পায় সে। গলার হাড় ভেঙ্গে যায় এবং কাঁধেও অনেক ব্যাথা পায়। চোখেও সমস্যা হয়। নরম তুলতুলে গাল দুটি যেন কেউ সুচ ফুটিয়ে ফুটিয়ে রক্তাক্ত করে দিয়েছে।
তার গুরুতর অবস্থা দেখে হামাস তাকে তুরস্কে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ঘোষণা দেয়। এক বিবৃতিতে জানায়, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান রাহাফ সালমান এবং তার পরিবারকে তুরস্কে চিকিৎসার জন্য আন্তরিকতার সাথে সম্মত হয়েছেন।
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর রাহাফকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কয়েকটি অপারেশন করা হয়। তুর্কি চিকিৎসকরা শুরুতেই তার চিকিৎসার ওপর জোর দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
আঙ্কার সেহির হাসপাতালের ১০তলার বেডে থাকা অবস্থায় সেই ভয়ঙ্কর রাতের কথা মনে করে প্রলাপ বকছিল রাহাফ। বলছিল, ‘আমাকে ওখানে আর পাঠিয়ে দিও না। আমি সেখানে আর যেতে চাই না। আমাকে এখানে থাকতে দাও। আমি বাকি জীবন এখানে কাটাতে চাই।’