পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক সবসময় ইতিবাচক। ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লব হওয়ার পর নতুন ধারার ইরানকে প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর একটি পাকিস্তান। আবার ইরানই প্রথম স্বাধীন পাকিস্তানকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তায় দুই দেশের মধ্যে রয়েছে জোরদার সম্পর্ক। প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে এই বিদ্যমান সম্পর্কে সন্তুষ্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে দ্বিপক্ষীয় এই সম্পর্ক আরও উন্নত করা জরুরি বলে মনে করছেন তিনি।
পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল এআরওয়াই’কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেছেন, গত দুই বছর ধরে পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে সৌদি আরব ও তুরস্কের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলের উত্তেজনা কমানোর ক্ষেত্রে পাকিস্তান ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যে ইমরান গত বছরের এপ্রিলে তেহরান সফর করেছিলেন এবং সে সময় তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা খামেনী ও প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠক করেন। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে তখন দাবি করা হয়, ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে ইমরান মধ্যস্থতার ভূমিকায় নেমেছেন।
ইমরানের এই সফরকে তেহরান স্বাগত জানায়। ওই সময় তিনি সৌদি আরবও সফর করেন। ইরান সফরে গিয়ে সেখানকার নগর ব্যবস্থাপনা দেখে অভিভূত ইমরান। রাজধানী তেহরানের উন্নয়নের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান এ ক্ষেত্রে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা করাচি ও লাহোরের জন্যও মডেল হতে পারে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন