ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি। রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ব্লিঙ্কেন এখন লন্ডন সফর করছেন। সেখানে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে পাশে নিয়ে এই ঘোষণা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ইরান যে মিসাইল পাঠিয়েছিল এতদিনে তা রাশিয়ার হাতে পৌঁছেছে। রাশিয়া এবার সেই মিসাইল ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করবে। দূরপাল্লার এই ব্যালেস্টিক মিসাইল বহু দূর পর্যন্ত ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।’
ব্লিঙ্কেন আরও জানিয়েছেন, ইরানের বিমান সংস্থাগুলো এবার নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত হতে পারে। ইরান এয়ারের সব ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সরাসরি বিমান যোগাযোগ বন্ধ করা হতে পারে।
পাশাপাশি ব্যালেস্টিক মিসাইল যারা তৈরি করছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যক্তিগত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। ইইউয়ের দেশগুলো এবং যুক্তরাজ্যও একই পথে হাঁটতে পারে বলে জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞার তালিকা যুক্তরাষ্ট্র জানাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই ইরানের সঙ্গে সব সরাসরি ফ্লাইট বাতিল করেছে। যদিও রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে ইরান।
এর আগে ভারতীয় দুটি শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত থাকার অভিযোগে এ সিদ্ধান্ত নেয় জোবাইডেন প্রশাসন। গত ৫ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার অর্থনীতিতে চাপ বৃদ্ধি এবং দেশটি থেকে এলএনজি গ্যাস রপ্তানি ঠেকাতে ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার।
আজারবাইজানের সংবাদমাধ্যম নিউজ ডট এজেডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ভারতীয় কোম্পানি দুটির নাম হলো- গোটিক শিপিং কোম্পানি ও প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিং। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই দুটি কোম্পানির সঙ্গে মার্কিন নাগরিক ও সংস্থাগুলোকে লেনদেন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।