মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল ইরান। ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর মৃত্যুতে দেশটির ৫০টি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে ইরান সরকার।
বিবিসি আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইরানি জনগণকে যেন বিচ্ছিন্ন ও অন্ধকারে রাখা না হয় তা নিশ্চিতে আমরা সাহায্য করতে যাচ্ছি।’
তবে সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত এই ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি সংস্থাগুলো ইরানে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইরান সরকার ‘নিজের জনগণকে ভয় পায়’ উল্লেখ করে ইন্টারনেট বিধিনিষেধের আংশিক শিথিলকরণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘ইরানিদের মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানাতেই অর্থপূর্ণ সমর্থনে এই দৃঢ় পদক্ষেপ।’
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল কুর্দিস্তান প্রদেশ থেকে রাজধানী তেহরানে আসেন। ওই সময় ‘আপত্তিকর’ পোশাক পরার অভিযোগে ইরানের নীতিপুলিশ তাকে আটক করে।
পরে পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। তখন ইরানের কর্তৃপক্ষ দাবি করে, আটককেন্দ্রে অবস্থানের সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নাগরিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।
মাহসা আমিনির মৃত্যুতে ইরানের অন্তত ৫০টি শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা মাশা আমিনির মৃত্যুর ন্যায়বিচার দাবি করেন। তারা ইরান কর্তৃপক্ষ ও নীতি পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গ্রেপ্তার ও ভয়ভীতি উপেক্ষা করে কিছু নারী জনসমক্ষে চুল কেটে ও হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান।
ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মাহসার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির অন্তত ৫০টি শহরে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে এক হাজার বিক্ষোভকারীকে। গতকাল শুক্রবারও দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।